“ডাক্তার নামে কসাই, হাসপাতালে চলছে রমরমা ব্যবসা ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল”

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।কুড়িগ্রাম জেলার সদরের ভেলাকোপায় ওয়াড়-৬ মোঃ মোজাফফর আলীর মেয়ে,মারুফা জাহান মাইশাকে(৫) আগুনে পুড়ে যাওয়া হাতের আঙুল দেখাতে যান,ঢাকার মিরপুরে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের ডাঃ আহসান হাবীবকে।

ডাক্তার আহসান হাবীব,বলেন অপারেশন করলে ৯৫% ভালো হবে।অপারেশন করলে ২ দিন এর মধ্যে করতে হবে,না হলে আমি দেশের বাইরে যাব।তার পরিচিত রূপনগরে আলম ম্যামোরীয়ান হসপিটালের অপারেশন করলে খরচ কম পড়বে বলে জানান। এর অপারেশন খরচ পরবে ৭০ হাজার টাকা। এই কথা শুনে মোজাফফর বাড়ি এসে টাকা নিয়ে যায় অপারেশন করার জন্য।

গত বুধবার(৩০শে নভেম্বর) তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে তার হাতের আঙুল গুলো পরিক্ষা করে।পরিক্ষা করার পরে মাইশা কে নিয়ে ডাক্তারা রূপনগর আলম ম্যামোরীয়ান হসপিটাল নিয়ে গিয়ে অপারেশন করে।

অপারেশন শুরু হয় ৯ টায়,অপারেশন অর্ধেক হবার পর ডাক্তারা এসে বলে,আপনাকে বন সই দিতে হবে।এরা বাচ্চা বাচানোর জন্য সই দেয়।ডাক্তার বলে ৫টায় তার জ্ঞান ফিরবে,কিন্তুু পরে ডা.জানায় বাচ্চার অবস্থা ভালো না। ১২ টার দিক মাইশাকে নিয়ে ডাক্তারা,গ্লোবাল স্পেশালাইজড হসপিটালে নিয়ে যান।বাচ্চার বাবা মাকে নিয়ে ছোটেন মিরপুর -১ মাজার রোডের সেই হাসপাতালে।

কিছুক্ষণ পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পড়ে ডাক্তারাই নিজে এম্বুলেন্স ভাড়া করে দেয়,এবং ওরাই গাড়ি ভাড়া দেয়।এবং অপারেশন করার ৭০ হাজার টাকাও ফেরত দেয় মোজাফফর কে।লাশ বাড়ি নিয়ে আসার পর,গোসল করানোর সময় মফিজা খাতুন, দেখে তার পেট কাটা।পরে হই চই শুরু হয়।

এই সব দেখে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসিকে ফোন করেন,মেম্বার জমশের আলী,আরও অনেকে।ওসি বলেন,ঢাকায় অপারেশন হওয়ায়,এই খানে আমাদের কিছু করার নাই।যেইখানে ঘটনা ঘটছে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের কথা বলে,ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।এই কথা শুনে এলাকাবাসি রাত ৪ টায়,বাচ্চাকে মাটি দেয়।

এলাকাবাসি ও মেম্বার বলেন,হাতের আঙুলের অপারেশন করার কথা বলে,ওরা বাচ্চাটার পেট কাটলো কেন।ডাক্তারা সবাই তাহলে বুদ্ধি করে ওর পেটের সব মনে হয় বের করে নিয়েছে।আবার বাচ্চা মারা যাবার পর টাকা ফেরত,গাড়ি ভাড়া কি জন্য দিল।গাড়িতে লাশ তোলার সময় দুইটা নার্স তাদের সব কাগজ-পাতি চুরি করে নেয়।এবং এম্বুলেন্স এর ড্রাইভার বার বার গাড়ি থামে ফাঁকে কার কার সাথে কথা বলে।বগুড়া এসে বলে আমার গাড়িতে তেল নাই,অন্য গাড়িতে চলে যান।

মেয়ের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু মানতে পারছেন না তার বাবা মা সহ স্বজনরা।মেয়ের মা বেলি বেগম বলেন ওরা আমার মেয়েকে বুদ্ধি করে মেরে ফেলেছে।আমি হসপিটালে কান্না করছি বলে,ডাক্তারা বলে এইখানে আর একবার কান্না করলে,আপনার বাচ্চাকে আর পাবেন না বলে আমাকে হুমকি দেন।মেয়ের বাবা মা সঠিক তথ্য জানতে তদন্তের দাবি জানান।ওরা ডাঃ না, কসাই।আমার মেয়ের পেট কাটলো কেন।আমি এর বিচার চাই।আমি মুক্তি যুদ্ধের সন্তান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।