ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে

  প্রতিনিধি ৯ জুন ২০২৩ , ৩:২১:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।পেঁয়াজের বাজারে অস্বস্তির পর আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।আর এতে পাইকারি পর্যায়ে দামও কমতে শুরু করেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন,পাইকারি বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আগের চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

সামনে এর দাম আরও কমতে পারে।খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতির ভয়ে অল্প অল্প করে পেঁয়াজ কিনছেন।আর পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আসায় দেশি ফরিদপুর ও পাবনার পেঁয়াজের দামও নামতে শুরু করেছে।খুচরা পর্যায়েও কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার (৯ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর খিলগাঁও বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার,মালিবাগ বাজার ও মেরাদিয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পেঁয়াজের দামের এমন তথ্যই মিলেছে।
খিলগাঁও বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুবকর বলেন,আজ পাইকারি বাজারের দেশি পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতির দিকে। প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।আর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।আগে পাইকারি বাজারে ৯০-১০০ টাকা দরে কিনতে হত যা বিক্রি করা হত ১১০ টাকায়।

তিনি বলেন,দাম বেশি থাকায় অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ পাইকারি বাজার থেকে কিনে এনে বিক্রি করছি।বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে আনলে লস (ক্ষতি) খাওয়ার শঙ্কা থাকে।তাই অল্প করে কিনে আনি। পেঁয়াজের বাজার এ বছর খুবই অস্থির, প্রতিনিয়তই দাম বাড়ছে-কমছে।

তিনি আরও বলেন, খবরে শুনছি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আসা শুরু করেছে।তবে এখন পর্যন্ত ঢাকার পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ তুলনামূলক কম এসেছে।ভারতীয় পেঁয়াজ যা আছে, তা পাইকারি বাজারে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মেরাদিয়া হাটে আদা, রসুন এবং পেঁয়াজ বিক্রি করেন মো হোসেন মিয়া। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এই একই দামে রসুন বিক্রি হয়েছে। আদা অনেকদিন ধরেই ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ গতকাল বিক্রি করেছি ৫৫ টাকায়। পাইকারি বাজার থেকে কিনেছি ৫২ টাকায়। আর আজ ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজার থেকে কিনেছি প্রতি কেজি ৫০ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনের রান্নায় পেঁয়াজ খুবই প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। আর এই পণ্যটি তারা বেশি দাম দিয়ে কিনছেন। আর বেশি দাম দিয়ে কিনলেও সিন্ডিকেটের কারণে এর সুফল কৃষিক পর্যন্ত যাচ্ছে না। ফলে যেই কৃষক উৎপাদন করছে তিনি প্রতারিত হচ্ছেন এবং ক্রেতাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। যে কারণে ক্রেতারা পেঁয়াজের বাড়তি দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গেল সোমবার ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ হাজার টন আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে এসেছে।

আরও খবর

Sponsered content