প্রতিনিধি ১৬ জুন ২০২৩ , ২:০৮:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।চলতি মাসের প্রথম দিকে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ওঠার পর আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।তাতে বাজারে কিছুটা সুখবর আসতে শুরু করে। তবে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে বেশ নেমে এলেও খুচরায় এখনো সেভাবে প্রভাব পড়েনি।অন্যান্য নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল,ডাল ও আটা-ময়দা উচ্চ দামে স্থিতিশীল রয়েছে।সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমলেও চিনির দাম কমেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিউমার্কেট বাজার, কাঁঠালবাগান বাজার ও মগবাজার এলাকায় বিভিন্ন মুদিদোকান ঘুরে দেখা গেছে,খুচরায় দেশি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি।পাইকারিতে এই পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকার আশপাশে।বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের কয়েকটি ধরন পাওয়া গেছে।মানভেদে দামেও আছে ভিন্নতা। খুচরায় মানভেদে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি।
জিনিসপত্রের দাম বেশি থাকায় হিসাব করে বাজার করি।
নিউমার্কেট বাজারের ক্রেতা আরিফা খাতুন।
রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবদুল মাজেদ বলেন,পাইকারিতে গতকাল প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরও কম। তবে খুচরায় দাম কেন বেশি,তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন,বাজারে পেঁয়াজের দাম যেভাবে কমবে আশা করা হয়েছিল,পাইকারিতে দাম সেভাবেই কমেছে। তবে খুচরায় সেভাবে না কমার কারণ,প্রথম দফায় আসা পেঁয়াজের মান ততটা ভালো ছিল না।এ জন্য বাজারে প্রভাব রাখতে পারেনি।এখন যে পেঁয়াজ আসছে,তা বেশ ভালো মানের।তাতে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে।কোরবানির আগে আর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
কয়েক দিন আগে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানো হয়েছে।তবে পুরোনো দামের সয়াবিন তেল অনেক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে গেছে।সেগুলো পুরোনো দামেই বিক্রি হচ্ছে।চিনির সংকট কাটছেই না।কেজি প্রতি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনি।
খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসার পথে জানিয়ে রাজধানীর নিউমার্কেট বাজারের হৃদয় স্টোরের স্বত্বাধিকারী হৃদয় হোসেন বলেন,পেঁয়াজের দুশ্চিন্তা কাটলেও বাজারে সরকারি দামের চেয়ে চিনির দাম এখনো বেশি। জিরার দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন,বাজারে পেঁয়াজের দাম যেভাবে কমবে আশা করা হয়েছিল,পাইকারিতে দাম সেভাবেই কমেছে। তবে খুচরায় সেভাবে না কমার কারণ,প্রথম দফায় আসা পেঁয়াজের মান ততটা ভালো ছিল না।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩০০ টাকার আশপাশে।ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।গরুর মাংসের কেজি ৭৩০ থেকে ৭৭০ টাকা।
আর খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। মাঝারি ও ছোট মানের পাঙাশ ও তেলাপিয়ার কেজি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা।প্রায় সব সবজির কেজি ৪০ থেকে ৭০ টাকা।চাল,ডাল,আটা-ময়দার মতো নিত্যপণ্য এখনো উচ্চ দামে স্থিতিশীল।
নিউমার্কেট বাজারের ক্রেতা আরিফা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বেশি থাকায় হিসাব করে বাজার করি।’