আরো

নীলা বুঝতে পারলো প্রতিরাতের মত আজও কেউ ওকে ধর্ষন করেছে!

  প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৪:১৪:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।মধ্য রাতে ঘুম ভেঙ্গেই নীলা খেয়াল করলো সে উলঙ্গ অবস্থায় বিছানায় পরে আছে!নীলা খুব ভয়ে পেয়ে গেল!ওর শরীর ঘামতে থাকলো।নীলা তারা তারি কাপড় পরিধান করলো।নীলা বুঝতে পারলো প্রতিরাতের মত আজও কেউ ওকে ধর্ষন করেছে।নীলা তার রুমের দরজা চেক করলো!দরজা তো ঠিকই আছে!কিন্তু এ কি করে সম্ভব!দরজা না খুলেই কেউ আমার সাথে কী ভাবে এমন করতে পারে!

পর দিন নীলা এই বিষয়টি নিয়ে অনেক ভাবলো কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছিলো না!নীলা তার বাবা মাকে ও কিছু বলতে পরছে না!কী-বা বলবে?কী করে একটা মেয়ে তার বাবা মাকে বলবে যে তাকে কেউ প্রতি রাতে ধর্ষন করে!নীলা ভাবলো এটা হয়তো তার মনের ভুল হতেপারে!তাই নীলা ভাবলো আর একটা রাত দেখা যাক!পরের দিন রাতে নীলা ঘুমিয়ে ছিলো!সেই দিন ও ওর সাথে একি ঘটনা ঘটলো!!

নীলা সেই রাতে বিছানা থেকে উঠতে পারছিলো না!আসলে একটা মেয়ের সাথে তার অনিচ্ছার পরও জোর করে মিলন করলে যা হয় আর কী!নীলা কোন মতে বিছানা থেকে উঠে জামা কাপড় পরে নিলো!নীলার খুব ক্লান্ত লাগছিলো!! সে বুঝতেছে না তার কী করা উচিত!নীলা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়লো!আর ভার্সিটিতে চলে গেল!

নীলা ভার্সিটির কেম্পাসে বসে বসে ভাবছে তার সাথে কেন এমন হচ্ছে!পরক্ষণেই নীলার বান্ধবী আসলো!আর এসেই জিজ্ঞেস করলো!কি হয়েছে নীলা?কী ভাবছিস?নীলা বুঝতেছে না কথা গুলো ওর বান্ধবীকে বলা উচিত হবে কি না?? আর একবার ভাবলো!ও ছাড়া ত আর কারো সাথে বলতে ও পারবো না!তাই নীলা সিদ্ধান্ত নিলো ওকে সব খুলে বলবে!!

নীলা ওর বান্ধবীকে সব খুলে বললো!ওর বান্ধবী সব শুনে হাসতে থাকলো!কিন্তু নীলার এমন চিন্তিত মুখ দেখে ওর একটু সন্দেহ হলো!কথাটা কি সত্যি নাকি নীলা?নীলা কান্নার সুরে বললো হুম!ওর বান্ধবী বললো ভয় পাস না আমি তো আছি!আজ রাতে আমি তোর বাসায় তোর সাথে থাকবো!! নীলা একটু খুশি হলো!অন্তত আজ একা একা থাকতে হবে না এই কথা ভেবে!

ওর বান্ধবী নীলার সাথে ওর বাসায় চলে গেল!ওরা খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়লো!ওরা দুজনে পাশা পাশি শুয়ে ছিল!! ঠিক মধ্য রাতে ওর বান্ধবী খেয়াল করলো বিছানাটা কাপছে!নীলার বান্ধবী তারা তারি রুমের লাইট জ্বালালো!আর দেখতে পেল নীলা সারা শরীর ঘেমে গেছে!আর নীলা ছট ফট করছে!নীলার নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে!এই অবস্থা দেখে নীলার বান্ধবী খুব ভয় পেয়ে যায়!

নীলার বান্ধবী খেয়াল করলো নীলার সমস্ত শরীর ঘামতেছে! নীলা পুরো ছট ফট করছে!নীলার বান্ধবী নীলাকে ডাকলো! প্রায় ১০ মিনিট ডাকার পর নীলা তার চোখ খুললো!আর খুলেই তার বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো!আর বললো কে যেন তাকে জড়িয়ে ধরেছিলো!তাই নীলার নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো!

আর কে যেন ওর ঠোঁট দুটো কামড়ে ধরে ছিলো!নীলার বান্ধবী খেয়াল করলো নীলার ঠোঁটের এক পাশ থেকে হালকা রক্ত বের হচ্ছে!এবার ওর বান্ধবী একটু নয় অনেকটাই ভয় পেয়ে গেল!ওর পুর পুরি বিশ্বাস হয়েছে যে নীলার সব কথা গুলোই সত্যি তাহলে!ও নীলাকে বললো নীলা এই বিষয়টি লুকিয়ে রাখার বিষয় নয়!তুই সব কিছু আন্টি আঙ্কেল কে খুলে বল রে!

একটা না একটা রাস্তা ঠিক বের হবেই!নীলা বুঝতেছে না ও কি করবে?সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে নিলো নীলা!! আজ আর ভার্সিটিতে গেল না নীলা!নীলা ওর রুমে বসে ভাবছিলো কী করা যায়!ঠিক সেই সময় নীলার মা ওর রুমে আসলো!আর নীলাকে জিঙ্গেস করলো কী হয়েছে?আজ ও ভার্সিটিতে গেল না কেন?নীলা ওর মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে সব খুলে বললো—!

বললো— প্রতি রাতেই কেউ একজন ওকে ধর্ষন করে!নীলার মা কথা গুলো শুনে অবাক হয়ে যায়!আর উনি বললো এই সব কথা তুই আমাকে এখন বলছিস কেন?? আগে কেন বলিস নি?নীলা বললো আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলাম মা!নীলার মা নীলাকে বললো ভয় পাস না মা!আমি তোর বাবার সাথে কথা বলছি!নীলার বাবা ও কথা গুলো শুনে খুবই অবাক হয়ে ছিলো!এটা ও কী সম্ভব!

পরের দিন রাতের কথা!নীলা তার রুমে শুয়ে ছিলো!ঠিক মধ্য রাতে নীলার রুম থেকে চিৎকার এর আওয়াজ শুনা গেলো‌!নীলা বাবা মা নীলার রুমে গেল!আর গিয়ে দেখতে পেল নীলা অজ্ঞান হয়ে পরে আছে!আর তার মা দেখলো নীলার চুল গুলো এলো মেলো!শরীরে কিসের যেন জখম! নীলার মা বুঝতে পারে আজ ও নীলার সাথে খারাপ কিছু হয়েছে!ওনার নীলাকে ওনাদের রুমে নিয়ে গেল!

পরদিন নীলার মা বলে মসজিদ এর হুজুর কে একটু ডেকে আনতে!একটু ওনার কাছে নীলাকে দেখাতে হবে!হুজুর কে ডাকা হলো!হুজুর বাড়ি ডুকেই অবাক হয়ে গেল!কেউ একজন হুজুরের কানের কাছে গিয়ে বলছে!চলে যা!চলে যা এখান থেকে!হুজুর শুধু বললো আপনার মেয়ের অবস্হা বেশি ভাল না!যত তারা তারি সম্ভব ওর বিয়ে দিয়ে দিন!নয়তো ওকে বাঁচানোর আর কোন উপায় নেই!পর দিন নীলার আব্বু শুনতে পাই যেই হুজুর তাদের বাড়ি এসে ছিলো সেই হুজুরটা নাকি মারা গেছে!

হুজুরের লাশ টা পাশের কবরাস্হানে পরে ছিল!নীলার বাবা হুজুরের জানাজায় উপস্থিত হয়ে ছিল!উনি এসে নীলাকে বললো হুজুরকে খুব খারাপ ভাবে মেরে ফেলা হয়েছে!উনি আরো বললো এটা কোন সাধারন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়!এটা অন্য কোন কিছুর কাজ!নীলা ভয়ে ভয়ে ওর বাবার দিকে তাকালো আর জিজ্ঞেস করলো!অন্য কিছু মানে বাবা??

নীলার বাবা বলতে গিয়েও থেমে গেল!ওনি বললো কিছু না মা!তুই চিন্তা করিস না!হয়তো নীলা ভয় পাবে এই কথা ভেবে উনি কিছু বললো না!হুজুরে মৃত্যুর পর থেকে নীলার বাবা খুবই ভয় পেয়ে আছে!ওনি এখন বুঝতে পেরেছেন যে এ যেই হউক ও খুব শক্তিশালী একজন!ওর কাছ থেকে আমার মেয়েকে বাঁচানোটা অতটা সহজ হবে না!ওনি ওনার স্ত্রীকে ডাকলেন আর বললেন নীলার খেয়াল রাখতে!

পরের দিন রাতের ঘটনা!নীলা আজ একা ঘুমোই নি!আজ ওর সাথে ওর মা শুয়ে আছে!ঠিক মধ্যরাতে নীলার মায়ের ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো!আর তিনি দেখতে পেলেন!নীলা খাটের উপর নেই!নীলার মা অন্ধকারে নীলাকে দেখতে না পেয়ে খুব ভয় পেয়ে গেলো!ওনি তারা তারি রুমের লাইট জ্বালালো! আর লাইট জ্বালিয়ে ওনি একটা চিৎকার দিয়ে উঠলো!!

উনি দেখতে পেল নীলা বিছানার উপর হাওয়ায় শুয়ে আছে!উনি তাড়াহুড়ো করে নীলার বাবার রুমে চলে গেলো!আর উনাকে সাথে নিয়ে নীলার রুমে আসলো!কিন্তু একি!!এখন তো সব ঠিকই আছে!নীলা খাটের উপর বিছানায় শুয়ে আছে!ওনারা নীলাকে ডাকলো আর নীলা জিজ্ঞেস করছে কী হয়েছে মা?এত রাতে তোমরা দুজনে এক সাথে আমার রুমে যে?? তার মানে নীলা কিছুই জানে না!ওনারা নীলাকে কিছু বললো না!

নীলার মা আর ওর বাবা দুজনে মিলে খুবই চিন্তিত! ওনারা বসে আলোচনা করছে কি করা যায়?তখন নীলার বাবা নীলার মাকে বললো!একটা কবিরাজ এর সাথে কথা বললে কেমন হয়?নীলার মা বললো হ্যা তুমি তাই করো!নীলার বাবা বললো আগে যে করেই হউক নীলাকে বাড়ি থেকে দূরে কোথাও সরাতে হবে!ঠিক সেই সময় গ্রাম থেকে একটা ফোন আসলো!

আর নীলার বাবার ভাই জানাল ওনার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে!নীলার বাবা ভাবলো এটাই সময় নীলাকে বাড়ি থেকে দূরে সরানোর!পরের দিন নীলার বাবা নীলাকে গ্রামে পাঠালো!নীলা গ্রামে গিয়ে একটু সস্তি পেল!ভাবলো হয়তো কয়কটা দিনের জন্য ওই সব থেকে মুক্তি পাবে!সারা দিন নীলার ভালই কাটলো!

রাতের কথা নীলা একটা রুমে একাই শুয়ে ছিলো!মধ্যরাতে নীলা খেয়াল করলো কেউ একজন ওর সাথে ওর রুমে আছে!নীলা খুব ভয় পেয়ে গেল!নীলা খেয়াল করলো কেউ একজন ওর কানের কাছে এসে বলছে কিরে তোর কি মনে হয়?তুই নিজে এই গ্রামে এসেছিস!না আমি তকে এই গ্রামে টেনে এনেছি!!

চলবে..

আরও খবর

Sponsered content