খেলাধুলা

নিজ হাতে হৃদয়কে গড়ে তুলেছেন মাহমুদ

  প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৪:৫২:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।২০২২ বিপিএলের সিলেট পর্বের ঘটনা। আউটার মাঠে স্পিন বলে ছক্কা মারার অনুশীলন করছিলেন তৌহিদ হৃদয়।কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় হচ্ছিল বারবার।তা দেখে এগিয়ে যান প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ।নিজেই করতে শুরু করেন অফ স্পিন।তার বলেও শুরুতে মারতে পারছিলেন না হৃদয়।মাহমুদ তাতে কিছুটা বিরক্ত হলেও হৃদয়কে কাছে ডেকে বুঝিয়ে দেন সমস্যার জায়গা।এরপর বেশ কিছু ছক্কা হাঁকাতে দেখা যায় তরুণ ব্যাটসম্যানকে।

বিপিএলের ওই অনুশীলন পর্ব ছোট্ট একটা উদাহরণ মাত্র। আরও আগে থেকেই বলা যায় প্রায় নিজ হাতে হৃদয়কে গড়ে তুলেছেন মাহমুদ।বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের পর বিপিএলেও আলো ছড়ানো তরুণ ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারের শুরুর থেকে অভিজ্ঞ এই কোচের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে হৃদয় অবশেষে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় মাহমুদ এখন তৃপ্ত।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে রাখা হয়েছে হৃদয়কে।সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের রানার্স-আপ হওয়ায় বড় অবদান রেখে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।

হ্যাটট্রিক ফিফটিসহ পাঁচটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসে আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪০৩ রান করেছেন হৃদয়।স্ট্রাইক রেট ১৪০.৪১, বাংলাদেশের বাস্তবতায় যা দারুণ।চার-ছয়ের পাশাপাশি এক-দুই রান নিয়ে ইনিংস গড়ার পারদর্শিতাও দেখিয়েছেন সিলেটের হয়ে টপ-অর্ডারে ব্যাটিং করা তরুণ।

অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায় থেকে হৃদয়কে কাছ থেকে দেখছেন মাহমুদ। রাজশাহীতে বাংলা ট্র‍্যাক একাডেমিতে মাহমুদের কোচিংয়েই নিজের ভিত গড়েছেন হৃদয়।পরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও মাহমুদের সাহচর্য পেয়েছেন তিনি।

লম্বা সময় ধরে হৃদয়কে দেখার অভিজ্ঞতা থাকায় তার বিপিএল পারফরম্যান্সে তেমন অবাক হননি মাহমুদ।বিসিবিতে সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবির এই পরিচালক বললেন,অবশেষে হৃদয়ের সম্ভাবনার ফুল ফুটতে শুরু করায় তিনি আনন্দিত ।

“আমি মনে করি,ছোটবেলা থেকেই ও (হৃদয়) অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার।খুব ভালো লাগছে যে এখন (প্রতিভা) কাজে লাগাতে পারছে।”

“আমার মনে হয়, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভালো করার পর ও একটু পিছিয়ে গিয়েছিল।কিন্তু ও সত্যিই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সুযোগ খুব ভালো কাজে লাগাচ্ছে, খুব ভালো খেলছে।”

আপাতত সেই ‘ভালো খেলা’দেখা গেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। তবে নিজের শিষ্যকে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ভালো করতে দেখার অপেক্ষায় তিনি।

“আমি মনে করি,ছেলেটার মধ্যে সামর্থ্য আছে জাতীয় দলে খেলার।দারুণ ব্যাটিং করে,মাথা ভালো,ফিল্ডিং করে খুব ভালো।সুতরাং সুযোগ পেয়েছে।এখন তো মাত্র সুযোগ পেল দলে।কিন্তু যখন খেলার সুযোগ পাবে,তখন সেটা ওরই করতে হবে,মাঠে সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে।আমি মনে করি আমাদের ভবিষ্যৎ খেলোয়াড়ের মধ্যে অবশ্যই হৃদয়ের নাম আছে।”

আরও খবর

Sponsered content