অপরাধ-আইন-আদালত

তারেক-জোবায়দার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন-ইসলাম গ্রুপ

  প্রতিনিধি ১১ জুন ২০২৩ , ৫:৩৭:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ইসলাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম।

রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মনজুরুলের সঙ্গে ইসলাম গ্রুপের পরিচালক আব্দুর রহিম চৌধুরীও সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্যে তারা ক্যান্টনমেন্টে শহীদ মইনুল হোসেন সড়কে বাড়ি নির্মাণ সংক্রান্ত ব্যয় নিয়ে কথা বলেন বলে জানিয়েছেন আদালতে অতিরিক্ত পিপি তাপস পাল।তিনি বলেন,ওই বাড়ির নির্মাণ কাজে ইসলাম গ্রুপ অংশ নিয়েছিল।

বাংলাদেশের শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তাদের একজন জহুরুল ইসলামের (প্রয়াত) ছেলে মনজুরুল ইসলাম বাবার প্রতিষ্ঠিত ইসলাম গ্রুপ ছাড়াও ইস্টার্ন হাউজিং,ইসলাম ব্রাদার্স প্রপার্টিজ,বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান।লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশেরও পরিচালক তিনি।

ঢাকা সেনানিবাসে মইনুল সড়কের ওই বাড়িতে জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালে থাকতেন।তার মৃত্যুর পর সেই বাড়ি তার স্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়াকে ইজারা দলিলের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

২০১০ সালে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ওই ইজারা বাতিল করলে তার বিরুদ্ধে আদালতে যান খালেদা জিয়া।আইনি লড়াইয়ে তিনি হারলে ওই বাড়ি ছাড়তে হয় তাকে।

মনজুরুল ও রহিমের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ২১ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন বলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন।

দেড় দশক আগের এই মামলায় এ বছর বিচার শুরুর পর এনিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল; মোট সাক্ষী ৫৭ জন।

গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিল এই আদালত।এরপর গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদার জবানবন্দি নেওয়ার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

দুদকের মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিএনপির নেতারা বলছেন,তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এই মামলার বিচার এগিয়ে নিচ্ছে সরকার।

শুনানির দিনগুলোতে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।এর মধ্যে একদিন বিএনপি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের পাল্টপাল্টি হৈ চৈ,ধাক্কাধাক্কিতে বিচারককে এজলাসও ছাড়তে হয়েছিল।

তারেক ও তার স্ত্রীকে পলাতক দেখিয়ে এই মামলার বিচার চলছে।তারা দেড় দশক ধরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।তাদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানাও রয়েছে।

মামলা বিত্তান্ত:-

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তারেক গ্রেপ্তার থাকা অবস্থায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা।তিনি সম্প্রতি আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়,তারেক ও জোবায়দার ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে।

মামলায় জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানুকেও আসামি করা হয়েছিল।২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় আদালতে।পরে উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম বাতিল করে দেয়।

আরও খবর

Sponsered content