শিক্ষা

ঢাবি’র সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদকে অব্যাহতি

  প্রতিনিধি ১ মে ২০২৩ , ১২:০৯:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাবি প্রতিনিধি।।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরে থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে,ঢাবির সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ’র পরিচালক পদ এবং ঢাবির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালকের পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,সিন্ডিকেট সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ রচিত ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন’ বইয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগের বিষয় উদ্ঘাটনের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশ উত্থাপন করা হয়।সভা মনে করে,গ্রন্থে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কতিপয় তথ্য অসত্য,বিভ্রান্তিকর ও ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাননো হয়েছে।সভায় উল্লিখিত গ্রন্থে অসত্য তথ্য পরিবেশন ও ইতিহাস বিকৃতির তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

এতে গ্রন্থের লেখক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এবং প্রকাশক ইউপিএলকে গ্রন্থটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।একইসঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননাকারী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িত ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর ফেসবুক পেজে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মনগড়া ও ভিত্তিহীন পোস্টের বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের একটি প্রতিবেদন সভায় উত্থাপন করা হয়। সভা মনে করে,এটি পাঠ্যপুস্তক,সরকারের শিক্ষানীতি ও ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার একটি অপপ্রয়াস।অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ ইতোমধ্যে তার কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবেন না বলে লিখিত মুচলেকা দেওয়ার শর্তে তার আবেদন সভায় মঞ্জুর করা হয়েছে।

সভায় সিন্ডিকেট সদস্যসহ অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) ও প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content