সারাদেশ

ছাত্রলীগের সভাপতির ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ

  প্রতিনিধি ২১ জুন ২০২৩ , ৩:১২:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি।।কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি খাইরুল ইসলামের ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) রাতে জেলা ছাত্রলীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হবে না,সে মর্মে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম একটি আবদ্ধ ঘরে ইয়াবা সেবন করছেন।সেখানে খাইরুলকে সহযোগিতা করছেন ফরিদুল নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী।তবে এই ভিডিওটি কতদিন আগে ধারণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওর প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা। স্ট্যাটাসে বলা হয়,একটি মহল প্রায় ৭ বছর আগে তাকে ডেকে নিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করে।তিনি মাদক সেবনকারী কিনা তা প্রমাণ করতে ডোপ টেস্টেরও দাবি তোলা হয় ওই স্ট্যাটাসে। তবে কিছু সময় পর তার ফেসবুক থেকে মুছে ফেলা হয় স্ট্যাটাসটি।

এ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বলেন,আমার নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে যে পোস্টটি করা হয়েছে,তা আমার নয়।তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করছে।ভিডিওতে মাদক সেবনের দৃশ্যে আমার ছবি এডিট করে বসানো হয়েছে।

রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেক বলেন,সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি খাইরুল ইসলামের।মাদক সেবনের ভিডিওটি সত্য। এ কারণে রোববার যুবলীগের শান্তি সমাবেশে তাকে বক্তব্য দিতে দেয়নি স্থানীয় আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার বলেন,ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম মাদক সেবন করছে।তার ছবি কোনো এডিট করা ছবি নয়।সে এডিট করার বিষয়ে মিথ্যে বলছে।এ বিষয়টি জেলা কমিটিকে জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, যেহেতু খাইরুলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মাদক সেবনের অভিযোগ উঠেছে।সেই ভিডিওটি কতদিন আগের তা সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এবং তাকে কেন দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না,সে জন্য ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content