অপরাধ-আইন-আদালত

ঝালকাঠিতে গুম হওয়ার পাঁচ বছর পর দেহাবশেষ উদ্ধার করলো- সিআইডি

  প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২২ , ৩:১১:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঝালকাঠির রাজাপুর বাইপাস এলাকার পরিবহন কাউন্টার ব্যবসায়ী চাঞ্চল্যকর খায়রুল খুন গুমের ঘটনায় প্রায় পাঁচ বছর পর আজ বুধবার দুপুরে
পূর্ব কানুদাসকাঠি মসজিদ সংলগ্ন কবর স্থান থেকে পুঁতে রাখা দেহাবশেষ উদ্ধার করে সিআইডি।

মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে চারজনে মিলে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেওয়া হয়।

সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হক এ তথ্য জানান।

সিআইডি জানায়, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজাপুর উপজেলা সদরের বাইপাস এলাকার বাড়ি থেকে খাইরুল মীরকে মোবাইল ফোনে নলবুনিয়া গ্রামে ডেকে নেয় ফোরকান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী। নলবুনিয়া গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে বসে খাইরুল মীরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস মিলে তাকে হত্যা করে। পরে তাঁর লাশ মনিরের বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয় তারা।

ঘটনার এক মাস পরে ওই চারজন মিলে লাশ তুলে পাশের গ্রাম কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে পুনরায় মাটি চাপা দেয়।

এ ঘটনায় খাইরুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হন। গত ৩ অক্টোবর রাতে কানুদাশকাঠি গ্রামের বাড়ি থেকে সিআইডি মিরাজুল ইসলাম মিজুকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকারীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।

ঝালকাঠি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হকের নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবার বিকেলে কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনের বাঁশঝাড় থেকে খাইরুল মীরের কঙ্কাল উদ্ধার করে।

আরও খবর

Sponsered content