প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ২:৫৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চিন্তা সব বাবা-মা করে থাকেন। তাই সন্তানের মধ্যে প্রথম থেকেই যদি কয়েকটি বিষয় তৈরি করা যায়,তাহলে ভবিষ্যৎ সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যেতে পারে।
যেসব শিশু শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে তাদের আগামী দিনগুলোতে অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয় না,বাবা হলেও তারা সহজেই সে অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারে।তাই সন্তানকে ছোট থেকেই আত্মবিশ্বাসী করার ওপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
স্কুলে পরীক্ষার খাতায় প্রাপ্ত নম্বরের ওপর বোঝা যায় সন্তান কেমন পড়াশোনা করছে এবং কীভাবে স্কুলে সে পারফর্ম করছে। কিন্তু আপনি যদি কেবল এই নম্বরের কথা চিন্তা করেন তাহলে সন্তানের সার্বিক বিকাশে প্রভাব পড়বে, যা তার ক্ষতি করতে পারে।
স্কুলে পারফরম্যান্স খারাপ হলে যে বাবা-মায়েরা উদ্বেগে থাকেন তাদের বাচ্চাদের সার্বিক বিকাশ তেমন একটা হয় না। তাই রেজাল্টের কথা চিন্তা না করে সন্তানকে এই কথাগুলো বললে নম্বর এমনিতেই বেড়ে যাবে।তাই বাবা-মা হিসেবে কী করা উচিত জেনে নিন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদনে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১.সন্তানকে উৎসাহিত করুন:-কাউকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে তাকে অনুপ্রাণিত করার সেরা উপায় উৎসাহিত করা।সন্তান ভালো কিছু করলে বাবা-মায়েরা প্রশংসা করুন।দেখবেন এমনিতেই সন্তান এগিয়ে যাবে।
২.ব্যর্থতারও প্রয়োজন:-সন্তানের সাফল্যর পাশাপাশি ব্যর্থতাও জানা প্রয়োজন,আমরা সব জিনিস সবসময় নাও পেতে পারি।এর জন্য ভেঙে পড়লে চলবে না।বাবা-মার উচিত সন্তানকে শেখানো যে জীবনের সবকিছুতে সফল হওয়া যায় না।সন্তুষ্ট থাকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
৩.নম্বর নিয়ে সব সময় পর্যালোচনা নয়:-বাবা-মা সবসময় গ্রেড নিয়ে ভাবলে শিশুর ওপর চাপ বেশি পড়ে।পরীক্ষা এবং বিশেষ করে রেজাল্ট নিয়ে সবসময় বাচ্চাকে সবসময় কথা শুনালে সে আগ্রহ হারাবে।সন্তানকে বরং এটা বলুন যে আপনি তাকে বিশ্বাস করেন।
৪.পাঠ্যক্রমবহির্ভূত বই:-বইয়ের বাইরেও আমাদের একটা জগৎ আছে তাই সন্তানকে পাঠ্যক্রমবহির্ভূত বই পড়তে শেখান।এতে শিশু উপভোগ করবে এবং কিছু আগ্রহ বাড়বে পড়ার প্রতি।এ ছাড়া পড়াশোনার বাইরে নাচ,গান,আবৃতিও শেখাতে পারেন।এতে স্কিল বাড়বে।