স্বাস্হ্য ও জীবন পরিচর্যা

৩০ পেরতেই সব চুল পেকে যাচ্ছে? কোন কারণে? এই ২ টোটকায় কুচকুচে কালো চুল ফিরে পান কয়েক সপ্তাহেই

  প্রতিনিধি ১ নভেম্বর ২০২২ , ১১:৫১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

Premature Hair Graying: সময়ের আগেই চুলে পাক ধরেছে আপনার? পাকা চুল কালো করার উপায় কী? তা তো জানবেন, কিন্তু তার আগেও জানা প্রয়োজন, কেন সময়ের আগেই চুলে পাক ধরছে? এর পিছনে ঠিক কোন কোন কারণ রয়েছে? পড়ুন বিস্তারিত

Hair Graying Home Remedies: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে নানারকম পরিবর্তন আসে। এমনকী প্রকৃতির নিয়মে চুলে পাক(Hair Graying) ধরে। ত্বকেও তার প্রভাব দেখা যায়। ত্বকের টানটান ভাব ধীরে ধীরে চলে যায়। বলিরেখা প্রকট হয়। এইসবই হয় প্রকৃতির নিয়মে। বয়সের এই লক্ষণগুলো প্রকট হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও আছে।

কিন্তু এই সময়ের আগেই যদি ত্বকে বয়সের ছাপ (Skin Aging) পড়ে কিংবা চুলে পাক ধরে যায়? তখন তো চিন্তা করতেই হবে। কেউ কেউ বলেন, ২০ বছর পেরতে না পেরতেই চুলে পাক ধরেছে, কারও কারও ক্ষেত্রে সেই লক্ষণ দেখা যায় ৩০ পেরোলেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায়, একে ‘প্রিম্যাচিওর গ্রেইং’(Premature Graying) বলা হয়। কিন্তু এটা কেন হয়, তা কি ভেবে দেখেছেন? কীভাবেই বা এর সমাধান কর সম্ভব?

কেন সময়ের আগেই চুলে পাক(Gray Hair) ধরে বা বয়সের ছাপ পড়তে থাকে? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নবনীত হরোর এই বিষয়ে কয়েকটি কারণের উল্লেখ করেছেন। ডার্মা মিরাকেল ক্লিনিকের ফাউন্ডার ও ডিরেক্টর তিনি।
অত্যাধিক দুশ্চিন্তা

দুশ্চিন্তা শুধুই আপনার স্বাস্থ্যে বা মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে এমনটা নয়। এমনকী আপনার বিউটি রুটিনেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেলের অন্য়তম কারণ হতে পারে দুশ্চিন্তা। এছাড়াও ত্বকে দ্রুতই বয়সের ছাপ ফেলতে পারে। একইভাবে দুশ্চিন্তার কারণে আপনার চুলেও তাড়াতাড়ি পাক ধরতে পারে।

বংশ পরম্পরায়

অল্প বয়সেই চুলে পাক ধরার অন্যতম কারণ হিসেবে এটিকেই গুরুত্ব দেন চিকিৎসকরা। জিনগত কারণে চুলে বয়সের আগেই পাক ধরতে পারে। অর্থাৎ, আপনার বংশের কারও যদি অল্প বয়সেই চুল পাক ধরে। জিনগত কারণে আপনার মধ্য়েও সেই লক্ষণ প্রকট হতে পারে। তাই ৩০ পেরতে না পেরতেই আপনার চুলেও পাক ধরতে পারে। আপনাকেই সতর্ক থাকতে হবে। লাইফস্টাইলে নজর রাখতে হবে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এড়িয়ে চলতে হবে।

ভিটামিনের ঘাটতি (vitamin B)
-vitamin-b
আমাদের শরীর যদি সঠিক পুষ্টি না পায়, তবে তার প্রভাব তো স্বাস্থ্যে পড়বেই। এমনকী তা আপনার ত্বকে ও চুলেও পড়তে পারে। আপনি ত্বকে বা স্ক্যাল্পে যতই পুষ্টিকর উপাদান ব্যবহার করেন না কেন, আপনার ডায়েটেও তা থাকা জরুরি। সুস্থ থাকলে তা এমনিই চুল বা ত্বকে দেখলে বোঝা যাবে।

আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ১২-এর ঘাটতি হয়, তাহলে তার প্রভাব পড়বে। কারণ, এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, ব্রেন ফাংশন ঠিক রাখতে খুবই কাজে আসে। এমনকী লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হতেও সাহায্য় করে। এছাড়াও পটাশিয়ামের মতো মিনারেলও প্রয়োজন আমাদের। এই ভিটামিনের ঘাটতিতে চুল তাড়াতাড়ি সাদা হয়ে যায়।

কারি পাতা (Curry Leaves)ও নারকেল তেল
-curry-leaves-

কারি পাতা চুলের জন্য খুবই ভালো। গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে যে, কারিপাতা পাকা চুল কালো করতে সাহায্য করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফার্মাটেক রিসার্চে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। এই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয় কারিপাতার এই গুণের কথা। সাদা চুলের সমস্যা ধীরে ধীরে কমিয়ে দিতে পারে এই পরিচিত পাতা। তা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে একাধিক গবেষণায়।

তাই আপনি চুলের যত্নে কারিপাতা ব্যবহার করতেই পারেন। এখন কী ভাবে ব্যবহার করবেন, তা জেনে নিন।

৩ চামচ নারকেল তেল নিন। ৫-৬টি কারি পাতা মিশিয়ে দিন। এটি ওভেনে বসিয়ে দিন। হালক আঁচে নাড়াতে থাকুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত মিশ্রণ কালচে হয়ে আসে, নাড়তে থাকুন। এবার গ্যাস বন্ধ করে পাত্র নামিয়ে নিন। তেল ঠান্ডা হতে দিন। স্ক্যাল্পে এবং চুলের গোড়ায় এই তেল ভালো করে মাসাজ করে নিন। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে এই তেল ব্যবহার করুন।

পেঁয়াজ এবং লেবুর রস(Onion Paste)
-onion-paste

চুলের অকালপক্কতা রোধ করার জন্য পেঁয়াজের ব্যবহার সবথেকে প্রাচীন পদ্ধতি। এছাড়াও চুল ভালো রাখতে বেশ কার্যকরী এই পেঁয়াজের রস। এটি আপনার চুলের জন্য খুবই ভালো। তাই একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পেঁয়াজের রস নিন। তার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তা আপনার চুলে মেখে নিন। কারণ লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা আপনার চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। স্ক্যাল্পের নানা সমস্যা দূরে রাখে

আরও খবর

Sponsered content