স্বাস্হ্য ও জীবন পরিচর্যা

নাগেশ্বরী উত্তরন ক্লিনিকে সেবার নামে কসাইখানা খুলে বসেছে!

  প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২২ , ৫:৩২:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিউ উত্তরন ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের পর এক প্রসূতি মারা গেছেন।এ ঘটনায়টি ঘটেছে নাগেশ্বরী উত্তরন ক্লিনিকে।গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত ক্লিনিকে চতুরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর অভিযোগ নাগেশ্বরী উত্তরন ক্লিনিকে সেবার নামে কসাইখানা খুলে বসেছে।

জানা যায় কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরীতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে ক্লিনিকে আসেন বেরুবাড়ী ইউনিয়নের মোবাল্লেগপাড়ার আশরাফুল আলমের স্ত্রী আফরোজা খাতুন (২২)। বিকেল ৩টার দিকে তাকে নেয়া হয় অপারেশন টেবিলে। এ সময় রোগীর এ্যানাস্থেশিয়ার দায়িত্বে ছিলেন ডা. হাফিজুর রহমান।

সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা.কসাই কবিতা ইসলাম। ফুটফুটে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেন আফরোজা খাতুন। এরপর সন্তানসহ প্রসূতিকে নেয়া হয় সাধারণ বেডে। কিছুক্ষণ পরে সদ্য ভূমিষ্ট সন্তানকে মাতৃহারা করে ক্লিনিকের বেডে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

পরে এ ঘটনায় প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত ক্লিনিকের ভেতরে-বাইরে হট্টগোল ও উত্তেজনা চলে। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে শোকাহত পরিবার অসহায় হওয়ায় রোগীর স্বজন দের ম্যানেজ করে নেয় ক্লিনিক মালিক ও কসাই নামে ডাক্তার। এরপর রোগীর স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মৃতের স্বামী আশরাফুল জানান, আমি শোকাহত এখন কিছু বলতে পারবো না । সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রেখে আমি এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করিনি। তবে আমার সন্তান জন্মেই মা হারা হয়ে গেল। আল্লাহ যেন আমাকে এ কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দেন।

ক্লিনিকের পরিচালক রবিউল ইসলাম রুবেল মাছ দিয়ে শাক ঢাকার চেষ্টা করে , সিজারিয়ান অপারেশনের পর প্রসূতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ক্লিনিকের বেডে নেওয়া হয়।

সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছিল। এরপর হঠাৎ সন্ধ্যার পরে তিনি মারা যান। আসলে রোগী মারা গেলে তো তাকে বাচানোর ক্ষমতা ডাক্তারের নেই। সবকিছু রোগীর স্বজনদের সামনে ঘটায় ডাক্তারদের প্রতি তাদেরও কোন অভিযোগ ছিল না কেননা একটি মহল জানায় আশরাফুল আলম এর স্ত্রী আফরোজা খাতুন দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ায় তার প্রতি অবহেলা রয়েছে । বহিরাগত কিছু লোকজন বিষয়টি ঘোলা করার চেষ্টা করেছে।

বেরুবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সোলায়মান আলী জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। আমি ঘটনা শুনেই ক্লিনিকে গিয়ে শোকাহত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

আরও খবর

Sponsered content