অপরাধ-আইন-আদালত

সাভারের বেদ মেয়েদের প্রতারণার শিকার জামালপুরের নবী হোসেন

  প্রতিনিধি ২৯ অক্টোবর ২০২২ , ৮:২২:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

সাভার প্রতিনিধি।।মোবাইল ফোন ইউটিউবাররা বিভিন্ন খারাপ মেয়েদের দিয়ে টিকটক তৈরি করে ফলোয়ার বাড়ানোর পাশাপাশি করছে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের মানুষ এর সঙ্গে ব্যাপক প্রতারণা ।

ঢাকা সাভারের বক্তারপুর এলাকার ‘বেদ’ মেয়েদের একটি গ্রুপ প্রতিনিয়ত ইউটিউবে পাত্র চাই সস্তা বানী দিয়ে হাতিয়া নিচ্ছে অনেকের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা ।উক্ত গ্রুপের দুই মেয়ের কবলে পড়ে সর্ব শান্ত হয় জামালপুরের এক ছেলে নবী হোসেন ।মোঃ নবী হোসেন এর গ্রামের বাড়ি রহিমপুর,পোস্ট:রহিমপুর,থানা:দেওয়ানগজ্ঞ,জেলা :জামালপুর,এবং তিনি একজন গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকার মাঝারি ধরনের ঝুঁট ব্যবসায়িক ।

ওই ব্যবসায়িক সাংবাদিকদের কে জানান আমি ইউটিউবে ছবি দেখে তারে পছন্দ করেছি ।সেখানকার মোবাইল নাম্বার পেয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানতে চাই তাহাকে বিয়ে করার কথা ।সে আমার সঙ্গে প্রেম/বিয়েতে রাজি হলে আমি তাঁর শর্ত মেনে নিয়ে বাড়ি-ঘর সাজাতে কয়েক লক্ষ টাকার বিভিন্ন জিনিস-পত্র কিনে দেই।

আর সে আমার কাছে জিনিস -পত্র কিনে নেওয়ার পরের দিন আমাকে ফোন দিতে না বলে দেন এবং হুমকি দিয়ে বলে তুই যদি আর একদিন আমাকে ফোন দেস বা আমার সঙ্গে বাসাতে দেখা করতে আসিস তাহলে তোর ব্যবস্থা নিব।
এখন জামালপুরের ছেলে নবী হোসেন সর্ব শান্ত হয়ে ঘুরছে সাংবাদিক ও বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ।

তিনি এখন সাভারের বক্তারপুর এলাকার বেদ মেয়ে জন্য পাগল।

নবী হোসেন বলেছেন,একদিনের জন্য হলেও ‘বেদ’ আয়শা’কে বিয়ে করে ঘর সংসার করতে চান।এখন টাকা পয়সা নবী হোসেন এর নিকট কোন বিষয় নয়, বিষয় হল ঐ মেয়েকে বিয়ে করে ঘর সংসার করা।

জামালপুরের নবী হোসেন এর সঙ্গে প্রতারণা করা আয়শার সঙ্গে সহযোগিতা হিসেবে কাজ করেন ‘বেদ ‘এর টিকটক করা আর এক মেয়ে তিথী।তাহারা উভয়ে বক্তারপুর এলাকার এক বাসার ভাড়াটিয়া ।প্রতারিত হওয়া নবী হোসেন এর অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক জন ঢাকাস্থ সিনিয়র রিপোর্টার বক্তারপুর এলাকার বেদ মেয়ে আয়শার সঙ্গে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য দেখা করতে যান।

সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকগণ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন যে,ঘটে যাওয়া বিষয়টি সত্য।ঘটনাস্থলে প্রতারক আয়শা’কে খুজে পাওয়া যায়নি,কিন্তু তার সহযোগি টিকটক কারী তিথী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন ঘটনা সব কিছু ঠিক, কিন্তু আমি তার সঙ্গে ছিলাম।আর ঐ বেটা তো জিনিস পত্র আমাকে কিনে দেয়নি।আরও তিথী বলে আমরা এক বাড়িতে আলাদা আলাদা বাসায় ভাড়া থাকি।

কিন্তু নবী হোসেন এর অভিযোগ তিথী আয়শার বড় বোন এবং ঐ বাড়িতে যারা থাকে সবাই তাদের আত্মীয়-স্বজন ।
সর্বশেষ কথা হচ্ছে-প্রতারক ও অপরাধী কারও বন্ধু নয় ।তাই প্রতারক-অপরাধী নিপাত করতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরদারি একান্ত প্রয়োজন ।

আরও খবর

Sponsered content