সম্পাদকীয়

সভ্যতার ইতিহাসের নিদর্শন ২০ নভেম্বর ১৯৪৩ সালের একটি বিয়ের কাবিননামায়

  প্রতিনিধি ১১ নভেম্বর ২০২২ , ৩:৫৩:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।। প্রাচীনকালে মানুষ সবাই মিলে থাকার চেষ্টা করছে। সমাজের সকল স্তরের অসংগতি দূরীকরণ ও সকল অপরাধ নির্মূলের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিল। তখনকার সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ছিল না বটে। তবুও নারী ও শিশু নির্যাতন তেমন ছিল না বলা মুশকিল। এখনকার যুগের নারী ও শিশু নির্যাতন, নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং গণধর্ষণ অহরহ ঘটছেই। নারী ভোগ্যপন্যের মতো ব্যবহার হচ্ছে। বিবাহ বিচ্ছেদ ও ধর্ষণ বা সেচ্ছায় যৌনতা বিনোদনের এক মহোৎসব চলছে।এসব আগেরকার আমলে এতোটা প্রথার ছিল না।প্রায় ৭৯ বছর আগের কাবিননামা।পাত্রীর নাম সুচরিতা মোসাম্মাৎ হাবিবুর নেছা, বয়স ১৫ ।পাত্র শ্রী জয়নাল আবদিন, বয়স ২১। তখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মেয়েদের নামের পূর্বে ‘সুচরিতা/শ্রীমতি’ ও ছেলেদের নামের পূর্বে ‘শ্রী’ ব্যবহারের প্রচলন ছিলো ।

উল্লেখিত কাবিননামায় ৩ নং পয়েন্টটিও বেশ লক্ষণীয় যা শুধু একটি চুক্তিপত্রই নয় বরং ততকালীন সমাজ ব্যবস্থার একটি দলিলও বটে ।

৩ নং পয়েন্ট :
আপনার বিনা অনুমতিতে দূরদেশে প্রবাসে যাইব না,যাওয়া আবশ্যক হইলে আপনার অনুমতি লইয়া যাইব। আপনাকে কখনও মাইরপিট কটু গালিগালাজ করিব না,আপনার দ্বারা সমশ্রেণীতে মানহানিজনক কার্য করাইব না ও আপনার প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করিব না,করিলে আপনার নিজ ইচ্ছায় নিজ পিত্রালয়ে থাকিয়া আমার হইতে মাসিক কুড়ি টাকা আপোষে ফি নালিশে আদায় করিয়া লইতে পারিবেন।আপনাকে যে দুইশত টাকার অলংকার প্রদান করিয়াছি,তাহা কোন প্রকার হারাণী গেলেবা নষ্ট হইলে আমি নিজ ব্যয় দ্বারা ছয় মাসের মধ্যে নূতন প্রস্তুত করিয়া দিব।

আরও খবর

Sponsered content