জাতীয়

সব বাধা উপেক্ষা করে দেশবাসী ভোট দিয়েছে, আমি কৃতজ্ঞ-প্রধানমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২৪ , ১:০১:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,এবারের নির্বাচন বানচালের জন্য দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে দেশবাসী আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ করে দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন দল এই জনসভার আয়োজন করে।এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

শেখ হাসিনা বলেন, সব বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে,ভোট দিয়েছে। এজন্য আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটাররা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,এবার গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত স্বতস্ফূর্ততা ছিল। ১৩০ বছরের বুড়ি মা ভোট দিতে এসে জানিয়েছে,হাসিনাকে ভোট দিতে এসেছি।

জাতির ভাগ্য গড়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনটা উৎসর্গ করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন,বাংলাদেশের মানুষের কোনো কিছু ছিল না।থাকার ঘর নেই,বাড়ি নেই,তাদের ভবিষ্যৎ নেই, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।সেই জাতির জন্য,তাদের ভাগ্য গড়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসর্গ করেন।অনেক সংগ্রাম ত্যাগের মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরে এসেছিলেন এই বাংলাদেশে।সবার আগে ছুটে এসেছিলেন এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। যেখানে তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন,অন্ন, বস্ত্র-বাসস্থান,শিক্ষার কোন কিছু ছিল না। প্রায় ৮০ থেকে ৯০ভাগ মানুষই দারিদ্র্যের নিচের বাস করত।একবেলার খাবার পেত না,দিনের পর দিন না খেয়ে তাদের জীবন কাটাতে হয়েছে।

তিনি বলেন,এ দেশে মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য,অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য,কী কী কাজ করা দরকার, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশকে কীভাবে তিনি গড়ে তুলবেন সেই সব বিষয়ে তিনি ভাষণেই উল্লেখ করেছিলেন।যে ভাষণ তিনি এ জায়গায় দিয়েছিলেন। এই ভাষণ যখন শুনি আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই।দীর্ঘ ৯ মাস কারাগারে বন্দি ছিলেন।সেখানে তাকে ঠিকমতো খাবারও দেওয়া হতো না।সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছিল তাকে।এমনকি একটি পত্রিকাও তার জন্য রাখা হয়নি।তার ফাঁসির হুকুম হয়ে গিয়েছিল।সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে লন্ডন হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছিলেন তিনি।দেশে পা রেখেই ছুটে যান বাংলার জনগণের সামনে। ১০ জানুয়ারি এখানেই তিনি ভাষণ দেন।সেই ভাষণে একটি দেশের ভবিষ্যৎ,উন্নয়ন,সব পরিকল্পনা, দুঃখী মানুষের হাসি ফোটানোর পরিকল্পনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ, সেটাই তিনি তুলে ধরেছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content