জাতীয়

সম্পর্কের ধাপ পরিবর্তন হবে পাঁচ বছরে: ইইউ রাষ্ট্রদূত

  প্রতিনিধি ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ , ২:২৮:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।নতুন সরকারের মেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ধাপ পরিবর্তন হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, পরবর্তী পাঁচ বছরে আমাদের সম্পর্কের ধাপ পরিবর্তন হতে দেখব আমরা,যেটি চালিত হবে নতুন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোকে।”

এবারের অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তিকে ২০০১ সালে হওয়া চুক্তির তুলনায় ‘প্রকৃতিগতভাবে আরও বেশি রাজনৈতিক’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “সেটি মূলত ছিল উন্নয়ন সহযোগিতার।”

তিনি বলেন, “অবশ্য, বাংলাদেশে আমরা যে কাজ করি তার একটি অংশ উন্নয়ন সহযোগিতা।তবে, আপনারা জানেন, এক বছর আগে আমাদের প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছিল এবং সেখানে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিও ছিল।

“নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও আলোচনা হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।এটা কেবল আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নয়, বিশ্বের বিস্তৃত পরিবেশে কী ঘটছে,তা নিয়েও। এবং কীভাবে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিন্ন অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোতে প্রভাব রাখতে পারে। অবশ্য, তাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেইন সংঘাত।”

খুব শিগগির ‘অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি’ নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হবে বলেও জানান ইইউ রাষ্ট্রদূত।

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকায় দুঃখ প্রকাশের বিষয় এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাচন হয়েছে এবং আমরা আমাদের বিবৃতি দিয়েছি।

“এখন হচ্ছে ভবিষ্যৎমুখী আলোচনা,কীভাবে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আধুনিক সম্পর্কের গাঁথুনি আমরা তৈরি করতে পারি এবং তার মধ্যে পররাষ্ট্রনীতির ইস্যুও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে,যা আমরা সময়মত দেখতে পাব।”

তাহলে ‘অতীতের ঘটনা ভুলে যাওয়ার’ নীতি কিনা, এমন প্রশ্নে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, “অবশ্যই না।আমাদের বিশেষজ্ঞ দল এখনো শহরে আছে,তারা এখনো যায়নি। তাদের প্রতিবেদন আমরা জনসম্মুখে প্রকাশ করব।”

এরপর তিনি বলেন, “এটা ওই প্রশ্ন নয়; প্রশ্ন হচ্ছে এটা নিশ্চিত করা যে,আগামী বছরগুলোতে আমরা যাতে আমাদের সম্পর্ককে সঠিক পথে রাখতে পারি।

“প্রতিবেদনের সুপারিশ নিয়ে আমরা অবশ্যই কাজ করব, যেভাবে গত মিশনেরটা নিয়ে কাজ করেছি। সেটি হচ্ছে,যেখানে প্রয়োজন, সেখানে সহযোগিতা ও সম্পৃক্ত হওয়া।সুতরাং অভিন্ন উদ্বেগ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করাটাই হলো সম্পর্ক।”

ইইউ-বাংলাদেশের কাজের অগ্রাধিকারের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন,উন্নয়ন সম্পৃক্ততার বিষয়ে অগ্রাধিকার ঠিক করা হয়েছে।সম্প্রতি ইইউর গ্লোবাল গেটওয়ে কর্মসূচির আওতায় হওয়া ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে।

“বাংলাদেশ হচ্ছে গ্লোবাল গেটওয়ে কর্মসূচিতে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের একটি।নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এটাকে টেস্ট কেস হিসেবে তৈরি করতে চাই।”

আরও খবর

Sponsered content