খেলাধুলা

সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস ২২৭ রানে

  প্রতিনিধি ২২ ডিসেম্বর ২০২২ , ১২:৩৪:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক।।চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যর্থতার পর সিরিজের দ্বিতীয় তথা সবশেষ টেস্টে ভেন্যু বদলালেও শুরুটা রাঙানো হলো না বাংলাদেশের।দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা মুমিনুল হক ছাড়া ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন বাকিরা।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলায় ৭৩.৫ ওভার মোকাবিলায় সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ২২৭ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন মুুমিনুল হক। ভারতের পক্ষে ২৫ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন পেসার উমেশ যাদব। ৭১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

সিরিজের প্রথম টেস্টে পরে ব্যাট করে ১৮৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে তাই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি টাইগার অধিনায়ক। শুরুটাও ভালো ছিল স্বাগতিকদের। জাকির ও শান্ত মিলে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশকে এনে দেয় ৩৯ রান। কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দপতন। এক যুগ পর ভারতের টেস্ট দলে ফিরে জাকিরকে সাজঘরে ফেরান জয়দেব উনাদকাট।

ইনিংসের ১৪.৫ ওভারে করা তার অফ স্টাম্পের বাইরের বাউন্স বল জাকিরের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে থাকা লোকেশ রাহুলের হাতে। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করা জাকির এদিন ৩৪ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

পরের ওভারেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। রিভিউ নিয়েও তিনি আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেননি। ৫৭ বল মোকাবিলায় ৩ বাউন্ডারিতে শান্ত ২৪ রান করে মাঠ ছাড়েন।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর মুমিনুল হকের সঙ্গে ভারতীয় বোলারদের ভালোই সামাল দিচ্ছিলেন সাকিব। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাট করেছেন স্বাচ্ছন্দ্যেই। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে উমেশ যাদবের শর্ট লেংথের বল মিডঅফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে তিনি ক্যাচ উপহার দেন পূজারাকে। বল তালুবন্দি করতে জায়গা থেকে নড়তেও হয়নি ভারতীয় ফিল্ডারকে।

সাকিবের পর মুমিনুলকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিকও। মুমিনুল ক্রিজের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ারের ১৬তম ফিফটি তুলে নিলেও মুশফিক আউট হন ২৬ রানে। উনাদকাটের অফ স্টাম্পের বল খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ উপহার দেন মুশফিক।

মিস্টার ডিপেন্ডেবলের বিদায়ের পর মুমিনুল হকের সঙ্গে ওয়ানডে ধাঁচে ব্যাট করে ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হন লিটন দাস। দুজনের জুটিতে মাত্র ৫৩ বলে ৪২ রান করে টাইগাররা। তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ফ্লিক করতে গিয়ে রাহুলের হাতে ক্যাচবন্দি হয়ে লিটনের মারকুটে ইনিংস থামে ২৫ রানে। ২৬ বল মোকাবিলায় ২ চারের সঙ্গে একটি ছয় হাঁকান তিনি।

এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুমিনুলকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তিনিও ক্রিজে স্থায়ী হননি। ৫১ বলে ১৫ রান করে উমেশ যাদবের বলে খোঁচা দিয়ে তিনি ধরা পড়েন উইকেটরক্ষকের হাতে। ক্রিজে নেমে স্থায়ী হতে পারেননি নুরুল হাসান সোহানও। উমেশ যাদবের বলে লেগ বিফোরে ফাঁদে পড়ে ১৩ বল মোকাবিলায় ৬ রানে থামে তার ইনিংস।

অন্যদিকে গত ‍জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাদ পড়া মুমিনুল একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন। তবে দূর্ভাগ্যক্রমে তিনি তুলে নিতে পারেননি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরিটি। ইনিংসের ৭৪তম ওভারে বল করতে আসা অশ্বিনের তৃতীয় বলটি ছেড়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন মুমিনুল। তিনি ব্যাট সরিয়ে নিলেও বল তার গ্লাভস আলতো স্পর্শ করে চলে যায় উইকেটরক্ষক রিশাভ পন্তের হাতে।

ভারতীয় শিবিরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তাতে ৮৪ রানে থামে তার লড়াকু ইনিংসটি। ১৫৭ বল মোকাবিলায় মুমিনুল ১২ চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান। তার বিদায়ের এক বল পরই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। বিনা উইকেট ১৯ রান করে দিন শেষ করেছে ভারত।

আরও খবর

Sponsered content