অপরাধ-আইন-আদালত

মেহেন্দিগঞ্জে মসজিদে নামাজরত ১০ বছরের শিশুকে ঝাড়ুপেটা করলেন হোসেন মাঝি——-!!!!

  প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৩:১৮:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহেরচর আল মাদরাসাতুল তাজবীদুল কোরআন কওমী মাদ্রাসার তৃতীয় জামাতের ছাত্র ছদ্মনাম তামিম (১০) কে যোহরের নামাজরত অবস্থায় ঠুনকো অজুহাতে ঝাড়ুপেটা করলেন শ্রীপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা মেম্বার হাফেজ খানের বেয়াই আবুল হোসেন মাঝি(৫০)।আহত শিশু তামিমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।এঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।ভিকটিমকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে বাধা দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৪) দুপুর সোয়া একটায় এ ঘটনা ঘটেছে।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভিকটিম সাংবাদিকদের জানান,আমি ঘটনার দিন যোহরের সুন্নাত নামাযের সিজদার মধ্যে ছিলাম।আকস্মিকভাবে আমাকে মসজিদের শলাকা’র ঝাড়ু দিয়ে হোসেন মাঝি ৮/১০টি পিঠান দেয়।ঝাড়ুর আঘাতে আমার পিঠ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।আমার সহপাঠী ছাত্ররা আমাকে ধরে বাড়িতে দিয়ে যান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে,অভিযুক্ত হোসেন মাঝি বলেছেন,আমার নাতনীকে থাপ্পড় দিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। আমি পিছন থেকে ঝাড়ু এনে আমার নাতনীর হাতে তুলে দিলে সে দুটো পিঠান দেন।

এব্যাপারে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আনওয়ার হোসাইন(01716521478)সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনাটি পারিবারিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছে।মেম্বার হাফেজ খান বিষয়টি সমাধান করবেন।

ভিক্টিমের পিতা মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার বলেন,(01717-303098)আমি একজন হতদরিদ্র মানুষ।আমার পক্ষে মামলা-মোকদ্দমা চালানোর টাকা নেই।আমার ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে।আমি আইন-আদালতের কাছে সঠিক বিচার চাই।

এবিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,৭ নভেম্বর পুলিশ বিট কাউন্সিলিং কমিটির গঠন করতে শ্রীপুর গেলে মৌখিকভাবে পুলিশকে অবহিত করেন।পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ২৯ নভেম্বর এসআই আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে খুঁজে পায়নি।

আরও খবর

Sponsered content