প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২২ , ৫:০২:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মেজবাহউদ্দিন ফরহাদের চাচাতো ভাই মেহেন্দিগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের দেয়া জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়ে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছে।
সুত্রটি জানায়, শ্রীপুর ইউনিয়নের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ মোল্লার সাথে কাজী-মোল্লা পরিবারের ঐতিহ্যের লড়াই চলছে। সে কারনে চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মোল্লা এনআইডি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় পাওয়ার পর জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করেন।
কিন্তু শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল তার পিতা কাজী আঃ রশীদ আলিমাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের সহি/স্বাক্ষর সীল মেরে ভূয়া জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করে। কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের দেয়া ভূয়া জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়ে শ্রীপুর ইউনিয়নের কাজী মাওলানা তাহের পাঁচ শতাধিক বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করছেন। প্রতিটি জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রুবেল। এছাড়াও অধিকাংশ বাল্যবিবাহ নিজেই উপস্থিত থেকে সম্পন্ন করেছে।
স্হানীয়দের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,চরফেনুয়া গ্রামের সন্ত্রাসীর গডফাদার কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের সহযোগী বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা ৭টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার তার ছেলে জয়নাল আবেদীন।গত ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সেনা সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগের ৬ বছর পূর্ন না করেই শ্রীপুর মহিষা ওয়াহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহনাজ আক্তারের মেয়ে সায়মা (১৬) সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীর সহিত সোমবার রাতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় ধরা পড়ে।স্হানীয়রা কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলকে খবর দিলে কাজী তাহের নলীকে ডেকে এনে কাবিন-রেজিষ্ট্রারী পূর্বক বিয়ে সম্পন্ন করেন।
এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে, কাজী মাওলানা তাহের নলী সাংবাদিকদের জানান, জন্মনিবন্ধন সনদ পেয়ে কাবিন-রেজিষ্ট্রারী সম্পন্ন করা হয়েছে।
এব্যাপারে শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, আমি কোন জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করিনি। বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ মোল্লার দেয়া জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়ে বিয়ে হয়েছে। উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হয়।
এবিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নুরনবী চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর মেহেন্দিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।