শিক্ষা

এখনতো শিক্ষাও বাণিজ্য হয়ে গেছে, শিক্ষকদের চিন্তাও বাণিজ্যিক হয়ে গেছে-মনজুরুল ইসলাম

  প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০২২ , ২:০৬:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-ইউল্যাবের অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, একাল-সেকালের শিক্ষকদের মধ্যে একটা প্রভেদ থেকেই যাচ্ছে। এটাকে অভিযোগ হিসেবে না দেখে বরং এক ধরনের বিবর্তনের চিহ্ন হিসেবে দেখতে চাই।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে এটিএন নিউজে সম্প্রচারিত এক বৈঠকিতে এসব কথা বলেন তিনি। ‘শিক্ষক: একাল-সেকাল’ শীর্ষক এই বৈঠকি যৌথভাবে আয়োজন করে দেশের ইউল্যাব।

এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নেন—ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ, বরিশালের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষা উদ্যোক্তা ড. মো. ইমরান চৌধুরী, ইউল্যাবের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক আরজু ইসমাঈল।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের ভিত গড়ে দেওয়া শিক্ষকদের ‘প্রধান কারিগর’ হিসেবে বর্ণনা করে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, এ জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আমি ভুলতে পারি না। একইভাবে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজের শিক্ষকদেরও আমি ভুলতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জীবন বদলে দিয়েছেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে গেলে বেশ করেকজন শিক্ষক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছেন। সেজন্য আমি আমার শিক্ষকদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আজ।

একজন শিক্ষক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষক স্বতঃস্ফূর্ততার মধ্য দিয়ে অনেক সময় যেতে পারেন না। গবেষণা করতে হয় পশ্চিমা একটি বিশেষ ছাঁচে ফেলে। কিন্তু আমার সংস্কৃতি, আমার জীবন, বাস্তবতা সেই অর্থে ওইভাবে নির্ধারিত না। এখনতো শিক্ষাও বাণিজ্য হয়ে গেছে, শিক্ষকদের চিন্তাও বাণিজ্যিক হয়ে গেছে। দারিদ্র্যের কারণে এখন অনেক শিক্ষককে বাইরের কাজও করতে হয়।

শিক্ষকদের একাল-সেকালের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সেকালের সকল শিক্ষকই আদর্শ ছিলেন, তা কিন্তু নয়। তবে বেশিরভাগ আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। আবার একালের সকল শিক্ষকই আদর্শচ্যুত হয়েছেন, মোটেও তা নয়। তবে এখন জীবন ধারণের যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে, তাতে কিছু সমস্যা হচ্ছে।

সমস্যাগুলোর বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, এখন শিক্ষকরা ব্যাচে ব্যাচে টিউশন করছেন, শ্রেণিকক্ষে ঠিকভাবে পাঠদান করছেন না। এ কারণে কিছু বিচলন, কিছু নৈতিক অবক্ষয় তো আমাদের মাঝে হয়েছে। সবাই জীবন ধারণের জন্য সংগ্রাম করছেন তা নয়। কেউ কেউ লোভে করেছেন, কেউ ক্ষমতা চাচ্ছেন। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকে উপাচার্য হতে লাইন ধরেছেন, কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিও চর্চা হতে শুনেছি। আর রাজনীতি শুদ্ধ হলে সব ক্ষেত্রেই তার ভালো প্রভাব পড়ে। সব মিলিয়ে আমি মনে করি দুই যুগেই সমস্যা ছিল, এখন কিছু কিছু সমস্যা বেড়েছে।

আরও খবর

Sponsered content