সারাদেশ

বেইলি রোডে যে ভবনে আগুন লেগেছিলো রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না-রাজউক

  প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২৪ , ৪:৫০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রাজধানীর বেইলি রোডে যে ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে,সেটিতে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। ছিল মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকানও।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।তিনি বলেন,ভবনে অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায়।

বেইলি রোডের ওই ভবনে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় আগুন লাগে।এতে ৪৬ জন নিহত হন। ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন,যাঁরা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।ভবন থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

রাজউক জানিয়েছে,ভবনটির অনুমোদন আটতলার।শুধু আটতলায় আবাসিক স্থাপনার অনুমোদন আছে।

রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম আজ শুক্রবার বলেন,ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।তবে তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য।রেস্তোরাঁ,শোরুম (বিক্রয়কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে,ভবনের নিচতলায় ‘স্যামসাং’ ও ‘গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার’ নামের দুটি ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম বিক্রির দোকান, ‘শেখলিক’ নামের একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও ‘চুমুক’ নামের একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল।দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁ,তৃতীয় তলায় ‘ইলিয়ন’ নামের একটি পোশাকের দোকান,চতুর্থ তলায় ‘খানাস’ ও ‘ফুকো’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ,পঞ্চম তলায় ‘পিৎজা ইন’ নামের একটি রেস্তোরাঁ,ষষ্ঠ তলায় ‘জেসটি’ ও ‘স্ট্রিট ওভেন’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে ‘অ্যামব্রোসিয়া’ নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল।

অবশ্য ভবনের ছবিতে সপ্তম তলায় ‘হাক্কাঢাকা’ নামের একটি রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ড দেখা যায়,যা ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে আসেনি।

রাজউক যেমন বলছে যে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ বা পোশাকের দোকানের অনুমোদন ছিল না,তেমনি ফায়ার সার্ভিসও বলছে, ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বেইলি রোডে গিয়ে আজ সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না।ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আরও খবর

Sponsered content