অপরাধ-আইন-আদালত

বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে ইউএনও হাজির হয়ে বরের তিন মাসের কারাদণ্ড

  প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২২ , ৬:২৫:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরের বয়স ১৮ আর কনের ১৪। দুজনের পরিবারের সম্মতিতেই আয়োজন হয়েছে বিয়ের। সাজানো হয়েছে প্যান্ডেল, বিয়েবাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নও শেষ। জনাত্রিশেক বরযাত্রী নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কনের বাড়িতে আসেন বর। তাঁদেরও আপ্যায়ন পর্ব শেষ। বিয়ের মঞ্চে বর ও কনে বসেছেন। কাজি বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন সময় সেখানে কয়েক পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ খবরে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান বর, কনে ও কাজি।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পৌর শহরের চকপাড়া শাহিনপুকুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। বিয়েতে বরের বেশে ছিলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের মগলিশপুর গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ মওলা। পেশায় তিনি একজন নির্মাণশ্রমিক। আর কনে চকপাড়া শাহিনপুকুর মহল্লার বাসিন্দা। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

পরে মেয়ের বাবাকে বুঝিয়ে বর ও কনেকে সেখানে হাজির করেন ইউএনও। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের অপরাধে বর মওলাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ায় মেয়ের বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না—এ মর্মে মেয়ের দাদি ও ফুফুর কাছ থেকে মুচলেকা নেন ইউএনও।

ইউএনও পরিমল কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, বরকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মেয়ের বাবাকে জরিমানা করা হয়েছে। কাজি পলাতক। বাল্যবিবাহ পড়ানোর অপরাধে কাজিকেও আইনের আওতায় আনা হবে। ইউএনও আরও বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ জন্য সাধারণ মানুষকেও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content