প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৩:৫৩:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নুর নবী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ট্রারিফ ও নিরাপত্তা (নৌ-নিট্রা) অনুমোদিত শশী পরিবহন খেয়া সার্ভিস বে-আইনীভাবে বন্ধ রেখে অবৈধভাবে
৫লাখ টাকার বিনিময়ে খেয়াঘাট লিজ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে,বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহের চর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মোঃ আবুল হোসেন মাঝি ওরফে আবুল হোসেন হাওলাদার বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদনের শর্শী পরিবহন নামে একটি যাত্রী সেবার খেয়া সার্ভিস শ্রীপুর লঞ্চঘাট টু ভায়া গাগরিয়া- মাঝকাজিরচরের আলাউদ্দিন খালের রাস্তার মাথায় রুট পারমিটের পারমিশন পেলেও অবৈধভাবে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নুর নবী চৌধুরীকে ম্যানেজ করে স্হানীয় চেয়ারম্যানরা উক্ত রুট পারমিটের শশী পরিবহন খেয়া সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছে।
সুত্র জানায়,শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লা ও আলিমাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম এর মাধ্যমে হেলাল ফরিয়াদীর কাছ থেকে ৫লক্ষাধিক টাকা ঘুষ বিনিময়ে অবৈধভাবে খেয়া সার্ভিস দেয়।
আবুল হোসেন মাঝির ছেলে রিগান সাংবাদিকদের কান্নাকন্ঠে জানান,আমার বাবা দীর্ঘদিন ব্রেনষ্ট্রোক মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।তার চিকিৎসা ও সংসার চালাতে পারছিনা।আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী এমপি পংকজ নাথের অনুসারী ২ চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লা এবং সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মোঃ হুমায়ুন হাওলাদার ওরফে হুমায়ুন বয়াতি মোঃ হেলাল ফরিয়াদীর কাছ মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমাদের সরকারি অনুমোদিত শশী পরিবহন খেয়া সার্ভিস চলাচল করতে দেয়না।আমাদের খুন-জখমের হুমকি দেয়।
স্হানীয়রা জানান,হেলাল ফরিয়াদী খেয়া সার্ভিসের মাধ্যমে জনগণের রক্তচুষে নিয়েছেন।শ্রীপুর টু গাগরিয়া ভাড়া ২০টাকা সরকারি ঘোষণা থাকলেও ৫০টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্হানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাননি।
শ্রীপুর গ্রামের মেম্বার মোঃ হাফেজ খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, রিগান আমার মেয়ের জামাই।তার ও তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে শশী পরিবহন খেয়া সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ মেনে নিতে বলছি। কারণ ইউএনও টাকা নিয়েছে।
এব্যাপারে শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লার বক্তব্য জানতে চাইলেও তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এবিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের বরিশালের উপ-পরিচালক ট্রারিফ ও নিরাপত্তা (নৌ-নিট্রা) টিআই কবির আহমেদ বলেছেন,নৌ পরিদর্শক মোঃ রিয়াদ আহমেদকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বরিশাল-৪(মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা,কাজিরহাট) আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিস্তারিত পত্রিকায়—-:-;-