সারাদেশ

বরিশালে ৭২ শতাংশ জামানত হারিয়েছেন

  প্রতিনিধি ৯ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:৩৮:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল প্রতিনিধি।।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ২১টি সংসদীয় আসনের মোট প্রার্থীর ৭২ শতাংশ জামানত হারিয়েছেন।জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ বা নৌকা প্রতীকেরু কেউ নেই।আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন থেকে চুড়ান্ত ফলাফলের তালিকা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, প্রাপ্ত মোট ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগেরও কম ভোট পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে।

 

নির্বাচন অফিস বলছে, বিভাগের ৬টি জেলায় মোট ভোটার ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ৫২২ জন। এর মধ্যে ৩২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অর্থাৎ এই বিভাগে ভোট প্রদানের হার ৪৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বরিশাল-১ আসনে ৬০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পটুয়াখালী-১ আসনে ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।

বিভাগের ২১টি আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১২০ জন। এর মধ্যে ৩৩ জন প্রার্থী জামানত রাখতে পেরেছেন। বিপরীতে হারিয়েছেন ৮৭ জন। আওয়ামী লীগ ১৫টি আসনে, জাতীয় পার্টি ২টি আসনে, স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৩টি আসনে, ওয়াকার্স পার্টি ১টি আসনে, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১টি আসনে ও জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ১টি আসনে জামানত রাখতে পেরেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অন্য সব আসনে জামানত রাখতে পারলেও একটি আসনে পরাজিত হয়েছেন। পিরোজপুর-২ আসনে জেপির চেয়্যারম্যান নৌকা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে হেরেছেন।

 

আর জামানত হারানো ৮৭ জনের মধ্যে ১৬ জন জাতীয় পার্টি, ২ জন ওয়াকার্স পার্টি এবং ৬৯ জন স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য দলের প্রার্থী। জামানত রাখতে না পারা দলগুলোর মধ্যে রয়েছে জাসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ কল্যাণ ফ্রন্ট ও কৃষক শ্রমকি জনতা লীগ।

আসনভিত্তিক এসব দলের প্রার্থীদের ভোট প্রাপ্তির পরিসংখ্যানও অত্যন্ত লজ্জাজনক।

 

যারা জামানত হারাচ্ছেন

 

ভোলা-১ (সদর) আসনের নৌকার প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৯ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে শাহজাহান মিয়া ৫ হাজার ৯৮০ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মশাল প্রতীক নিয়ে সিদ্দিকুর রহমান ৩ হাজার ৮২১ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮১৪। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯ জন। বাতিল হয়েছে ২৭৪৯ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের তোফায়েল আহমেদ ছাড়া বাকি দুই প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দীন) আসনে আলী আজম মুকুল নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩২৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে আসাদুজ্জামান ২০০১, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) বাইসাইকেল প্রতীকে গজনবী ৩১৯১, তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীকে শাহেনশাহ মো. শামসুদ্দিন মিয়া ১৩১৯ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪০। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮৩। বাতিল হয়েছে ২১৪৬ ভোট। ভোট পড়েছে ৪৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের আলী আজম মুকুল ছাড়া বাকি তিন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।

 

ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে নৌকার প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন পেয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৯২৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীক নিয়ে আলমগীর ১৫১১, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল নিয়ে কামাল উদ্দিন ১৬৫৩ এবং স্বতন্ত্র ঈগল পাখি প্রতীকে জসিম উদ্দিন ১৭ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৭। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৮১। বাতিল হয়েছে ১৯০৪ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ছাড়া বাকি কিন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পেয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মাথাল প্রতীকে আবুল ফয়েজ ৪৮২৮, এনপিপির আম নিয়ে আলাউদ্দিন ২৩৮৫, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল নিয়ে মিজানুর রহমান ৬০৪৩ ও তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ নিয়ে মো. হানিফ ৩২৭৮ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮১। ভোট পড়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৯১। বাতিল হয়েছে ৩৭৭৯ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ছাড়া বাকি চার প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে নৌকা প্রতীকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু পেয়েছেন ৫৪ হাজার ১৬৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে গোলাম সরোয়ার টুকু ৬১ হাজার ৭৪২, স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকে খলিলুর রহমান ১৮ হাজার ৭৫৪, কাঁচি প্রতীকে গোলাম সরোয়ার ফোরকান ৫৭ হাজার ৮৭৪, এনপিপি মনোনীত আম প্রতীকের মাহবুবুর রহমান ১৭৩, স্বতন্ত্র মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম কেটলি প্রতীকে ৯৯৬, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আঁশ প্রতীকে ইউনুস সোহাগ ২৮৮, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকে ৩৪৪, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন মনোনীত নোঙ্গর প্রতীকে মাসুদ কামাল ৬৬ ভোট ও তরিকত ফেডারেশন মনোনীত ফুলের মালা প্রতীকে শাহ মোঃ আবুল কালাম পেয়েছেন ৪২০ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯১১। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯২ জন। বাতিল হয়েছে ১৫৬৭ ভোট। ভোটের হার ৪০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এই আসনে গোলাম ছরোয়ার ফোরকান (কাঁচি), গোলাম সরোয়ার টুকু (ঈগল) ও ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (নৌকা) ছাড়া বাকি ৭ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

বরগুনা-২ (বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা) আসনে নৌকা প্রতীকে সুলতানা নাদিরা পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩২ ভোট। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙর প্রতীকে ড. আব্দুর রহমান ১৯৫১, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা প্রতীকে আবু বকর সিদ্দিক ৬৬৯, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে কামরুজ্জামান লিটন ১০১৪, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীক নিয়ে মিজানুর রহমান ১৭০৩, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীকে শাহ মো. আবুল কালাম ৫৯৯, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে জাকির হোসেন ১৩৭৭ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৪৭। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮২ জন। বাতিল ভোট ২৮৩৭ টি। ভোটের হার ৪৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের সুলতানা নাদিরা ছাড়া বাকি ৬ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী) আসনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৮০ হাজার ৭৩২ ভোট । তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের মশাল প্রতীকের কে.এম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া ৩২০, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকে মহিউদ্দিন মামুন ৩৯৯, তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীকে মো. খলিল ১২৯৮, এনপিপি আম প্রতীকে নজরুল ইসলাম ২৫০৩ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীক নিয়ে নাসির উদ্দিন তালুকদার ২৭ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৭। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ১০৯ জন। বাতিল হয়েছে ১৯৬৫ ভোট। ভোট পড়েছে ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। এই আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত এবিএম রুহুল আমিন ও বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব প্রতীকের নাসির উদ্দিন তালুকদার ছাড়া বাকি ৪ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে নৌকা প্রতীকে আ.স.ম ফিরোজ পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ২৯২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে মাহবুবুল আলম ১২৯৫, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের টেলিভিশন প্রতীকে জোবায়ের হোসেন ২২৩১ ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মহসীন হাওলাদার ২৯৫১ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৪ জন। ভোট দিয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩ জন। বাতিল হয়েছে ২২৮৪ ভোট। ভোট পড়েছে ৪৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের আ.স.ম ফিরোজ ছাড়া বাকি ৩ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে নৌকা প্রতীকে এসএম শাহজাদা পেয়েছেন ৮৯ হাজার ১৭১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের টেলিভিশন প্রতীকে এওয়াইএম কামরুল ইসলাম ১১৯, এনপিপির আম প্রতীকে ছাইফুর রহমান ৪১২, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নজরুল ইসলাম ৩২২ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা প্রতীকে নূরে আলম ১০৩ এবং স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকে আবুল হোসেন ৪৮ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৬১। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ১০৩ জন। বাতিল হয়েছে ১৪৬৮ ভোট। ভোট পড়েছে ৩৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের এসএম শাহজাদা ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন ছাড়া বাকি চার প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে নৌকা প্রতীকে মহিববুর রহমান পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৫৬ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান তালুকদার ৪৮ হাজার ৫৭৬ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন ৮৬৯৪, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের আব্দুল মান্নান হাওলাদার ৩৫০, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব প্রতীকের জাহাঙ্গীর হোসাইন ২৩৩ ও জাসদের মশাল প্রতীকে বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু ২৮১ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৬। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৮৮১ জন। বাতিল হয়েছে ১৮৯১ ভোট। ভোটার হার ৪১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের মহিববুর রহমান ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের মাহবুবুর রহমান তালুকদার ছাড়া বাকি ৪ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে নৌকা প্রতীকে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী ৪১২২ ও ন্যাশনালস পিপলস পার্টি মনোনীত আম প্রতীকের মো. তুহিন ১২১৮ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪ ভোট। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৪ জন। বাতিল হয়েছে ১৯১৭ ভোট। ভোট পড়েছে ৬০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ছাড়া বাকি দুই প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে নৌকা প্রতীকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ ভোট। স্বতন্ত্র মনিরুল ইসলামের ঢেঁকি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২২২, শের-ই-বাংলার নাতি স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে ফাইয়াজুল হক ঈগল প্রতীকে ৩১ হাজার ১৬২ , সঙ্গীত শিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীক নিয়ে ১৪২১, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে শাহজাহান সিরাজ ১৭৮, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকে ইকবাল হোসেন তাপস ৩৭৩ ও এনপিপির আম প্রতীকে সাহেব আলী ৫৭৩ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৪৬ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬১ জন। বাতিল হয়েছে ২০৫৭ ভোট। ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের রাশেদ খান মেনন ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের এ.কে ফাইয়াজুল হক ছাড়া বাকি ৫ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে গোলাম কিবরিয়া টিপু ৫১ হাজার ৮১০ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে টিপু সুলতান ১১ হাজার ৩২১, স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকে আতিকুর রহমান ২৪ হাজার ১২৩, ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক ৬৪১১, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকে আজমুল হাসান জিহাদ ৯০৩, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে শাহানাজ হোসেন ১২৭ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১০ হাজার ৯২ জন। ভোট দিয়েছেন ৯৬ হাজার ৯১ জন। বাতিল হয়েছে ১৩৯৬ ভোট। ভোট পড়েছে ৩০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এই আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে গোলাম কিবরিয়া টিপু, ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে টিপু সুলতান ও ট্রাক প্রতীকের আতিকুর রহমান ছাড়া বাকি তিন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পঙ্কজ নাথ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৯ ভোট। জাতীয় পার্টি মনোনীত মিজানুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৭৫, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকে হৃদয় ইসলাম চুন্নু ১৮৮৯ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২২৭। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৬ জন। বাতিল হয়েছে ৩৮৭৩ ভোট। ভোট পড়েছে ৪৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দুই প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।

 

বরিশাল-৫ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকে জাহিদ ফারুক পেয়েছেন ৯৭ হাজার ৭০৬ ভোট। ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট। এনপিপি মনোনীত আম প্রতীকের আব্দুল হান্নান সিকদার ২৫০, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের মাহাতাব হোসেন ২১৫, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটোর ছড়ি প্রতীকে আসাদুজ্জামান ১৪৭, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ইকবাল হোসেন তাপস ২৮৬ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৯ জন। বাতিল হয়েছে ২০১৫ ভোট। ভোট পড়েছে ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের জাহিদ ফারুক ও স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের সালাউদ্দিন রিপন ছাড়া বাকি ৪ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে আব্দুল হাফিজ মল্লিক পেয়েছেন ৬০ হাজার ১০৯ ভোট। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৭৪ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে নাসরিন জাহান রতনা ৯ হাজার ১৮৮। তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের টিএম জহিরুল ইসলাম তুহিন ১৭২, জাসদের মশাল প্রতীকের মোহাম্মদ মোহসীন ১৪৭, স্বতন্ত্র তরমুজ প্রতীকের কামরুল ইসলাম খান ২০০, স্বতন্ত্র রকেট প্রতীকের জাকির হোসেন সাগর ১২০, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের মাইনুল ইসলাম ১১৪, এনপিপির আম প্রতীকের মোশারফ হোসেন ৪৮, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের শাহবাজ মিঞা ২৯৪ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৯। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৫১৩ জন। বাতিল হয়েছে ১৭৪৭ ভোট। ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের হাফিজ মল্লিক ও স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের শাসমুল আলম ছাড়া বাকি ৮ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান ৬২৫, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের আবু বকর সিদ্দিক ১৬২৪, ট্রাক প্রতীকে আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩৭০, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে এজাজুল হক ১২৭১, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে জসীম উদ্দিন তালুকদার ২৮২, বাংলাদেশ কংগ্রেস ডাব প্রতীকে মজিবর রহমান ১৪২ এবং সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকে মামুন সিকদার মাত্র ৯৭ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৮ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৫। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ১৪২৫টি ভোট। ভোট পড়েছে ৪৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের শাহজাহান ওমর ছাড়া বাকি ৭ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি-সদর-নলছিটি) আসনে নৌকা প্রতীকের আমির হোসেন আমু ১ লাখ ৩৭ হাজার ১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের ফোরকান হোসেন ৩২৫০ ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের নাসির উদ্দিন ৪৩১৭ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৫৫। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২২১৮ ভোট। ভোট পড়েছে ৪২ দশমিক ৯০ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের আমির হোসেন আমু ছাড়া বাকি দুই প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানি) আসনে নৌকা প্রতীকে শ.ম রেজাউল করিম পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৪১০ ভোট। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে.এম আউয়াল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪৮৭ ভোট। তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে ইয়ার হোসেন রিপন ৮৭৪, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১২৩৬ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ২০৫। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৩১৯৮। ভোট পড়েছে ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। এই আসনে নৌকৈা প্রতীকের শ.ম রেজাউল করিম ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের এ.কে.এম.এ আউয়াল ছাড়া বাকি দুই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

 

পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) আসনে নৌকার প্রার্থী জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৬৮১ ভোট। স্বতন্ত্র মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল প্রতীকে ৯৯ হাজার ২৬৮, তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীকের মোহাম্মদ জাকির হোসেন ১১৬, গণফ্রন্টের মাছ প্রতীকে মাহতাব উদ্দিন মাহমুদ ৫১৮, সুপ্রিম পার্টির একতারা প্রতীকে মিজানুর রহমান ২১৮, এনপিপির আম প্রতীকে আবুল বাশার ২১৬ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে ছগির মিয়া ১৭৭ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯৩। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৬ জন। বাতিল হয়েছে ২১৭২ ভোট। ভোট পড়েছে ৪৫ দশমিক ০৯ শতাংশ। এই আসনে নৌকা প্রতীকের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ছাড়া বাকি ৫ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

 

পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মাশরেকুল আজম রবি ৬৬০, স্বতন্ত্র ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী ঈগল প্রতীকে ৪৭ হাজার ৬২১, এনপিপির আম নিয়ে আমির হোসেন ১১৮, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি নিয়ে জাসেম মিয়া ৫৭, তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা নিয়ে শহিদুল ইসলাম ৫৭, কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি নিয়ে শহিদুল ইসলাম স্বপন ১৯৫, স্বতন্ত্র কলার ছড়ি প্রতীকে শামীম শাহনেওয়াজ ৬২ হাজার ১৩০ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে হোসাইন মোসারেফ সাকু মাত্র ৪৬ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৪২ ভোট। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৬৯ জন। বাতিল হয়েছে ১২৮৫ ভোট। ভোট পড়েছে ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ। এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকের শামীম শাহনেওয়াজ ও ঈগল প্রতীকের রুস্তুম আলী ফরাজী ছাড়া বাকি ৬ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content