চাকরির খবর

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অক্টোবরে

  প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:১৭:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপে আবেদন শেষ হয় গত ২৪ মার্চ।ছয় মাস পার হলেও নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছিল না কর্তৃপক্ষ।মূলত অর্থ ছাড় নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা।

পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে যে খরচ,তা যোগাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি মিলছিল না।নড়াচড়া’ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।অবশেষে সেই জটিলতা কেটেছে।অর্থ ছাড়ে মৌখিক সম্মতি মিলেছে।অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত এ সংক্রান্ত চিঠি যাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

জটিলতা কেটে যাওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অক্টোবর মাসের শেষ দিকে প্রথম ধাপে আবেদন করা রংপুর,বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নিতে চান তারা।একই সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই বাকি দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষাও শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছে অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদও দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা হবে বলে আশার কথা জানান।

তিনি বলেন, ১১-১২ লাখ প্রার্থী।এত সংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা নিতে হলে তো অনেক খরচ হবে।তার মধ্যে বড় খরচটা হলো-তাদের যে লিখিত পরীক্ষার খাতা (উত্তরপত্র),সেটি মূল্যয়ন করানো।এখানে বেশ ভালো অংকের অর্থ খরচ হয়। সেটি অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড় না করলে আমাদের বা অধিদপ্তরের কিছু করার থাকে না।ইচ্ছা থাকলেও সেজন্য এতদিন নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন,অর্থ ছাড় নিয়ে হয়তো আর ঝামেলা নেই।আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছি।বলা চলে-ওটা হয়ে যাবে বা গেছেই।এখন নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা বাকি প্রস্তুত নেবেন।যত দূর জেনেছি,তারা অক্টোবরের ভেতরে একটা (প্রথম ধাপ) পরীক্ষা হয়তো নিয়ে নেবেন।পরীক্ষা কবে হবে,সেই সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা ভালো বলতে পারবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়,নির্বাচনের আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনে নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল।এছাড়া পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা করবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট),এটিও আগেই ঠিক করা হয়েছে।অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড়ের সম্মতির চিঠি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে পৌঁছালে পরীক্ষার তারিখ ঠিক করতে শিগগির সভা ডাকা হবে। সেখানে তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর,বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।এ ধাপে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ। প্রথম ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০টি।

দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ,খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। দ্বিতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮টি।

১৮ জুন তৃতীয় ও শেষ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এ ধাপে আবেদন শেষ হয় গত ৮ জুলাই। তৃতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজারের কিছু বেশি।

আরও খবর

Sponsered content