আন্তর্জাতিক

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় খোঁজ মেলেনি দুই যাত্রীর

  প্রতিনিধি ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ , ১২:৪৬:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।নেপালে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি দুই যাত্রীর;তাদের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা পাহাড়ি অঞ্চলের ২০০ মিটার গভীর খাদে নেমেছেন,উড়িয়েছেন ড্রোন।

রোববার পরিষ্কার আবহাওয়ায় মধ্যে পোখারার নতুন চালু হওয়া বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টাকালে কাছেই ৭২ আরোহী নিয়ে আছড়ে পড়েছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর৭২ টার্বোপ্রপ উড়োজাহাজটি।এখন পর্যন্ত উড়োজাহাজটির ৭০ আরোহীর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

উদ্ধারকারী দলে থাকা পোখারার পুলিশ কর্মকর্তা অজয় কেসি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “এখানে এখন গাঢ় কুয়াশা। উড়োজাহাজটির কিছু অংশ যেখানে পড়েছে ও আগুনে পুড়েছে সেই পাহাড়ের খাঁজে দড়ির সাহায্যে উদ্ধার ও অনুসন্ধান কর্মীদের নামাচ্ছি আমরা।”

আলো ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় ইতি টানার আগে সোমবার আরও দুটি মৃতদেহ পেয়েছেন তারা।

“যাত্রীদের মধ্যে ছোট শিশুরাও ছিল। তাদের কেউ কেউ হয়তো পুড়ে মারা গেছে আর আমরা তাদের (মৃতদেহ) হয়তো পাবো না।তবে তাদের খোঁজে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি,” বলেছেন কেসি।

টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজে পোখারার একটি হাসপাতালের বাইরে মৃতদেহের অপেক্ষায় থাকা কিছু ক্রন্দনরত স্বজনদের দেখা গেছে।ওই হাসপাতালটিতেই বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের ময়নাতদন্ত চলছে।

সোমবার অনুসন্ধানকারীরা উড়োজাহাজটির ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন।

দুটো ব্ল্যাকবক্সই ভালো অবস্থায় মিলেছে,কী কারণে এ দুর্ঘটনা তা বের করতে এগুলো সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের নিয়ম অনুযায়ী,দুর্ঘটনায় পড়া বিমান ও এর ইঞ্জিনের নকশা এবং বিমান ও ইঞ্জিন যেখানে নির্মিত হয়েছে সেসব দেশের কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুর্ঘটনার তদন্তে যুক্ত হবে।

ইয়েতির এটিআর বিমানটি মূলত ফ্রান্সভিত্তিক,এর ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে কানাডায়,বানিয়েছে দেশটির প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি কোম্পানি।

ফ্রান্স ও কানাডার বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ বলেছে, নেপালের বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে তাদের।

আরও খবর

Sponsered content