প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৪:৫৬:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল জেলা প্রতিনিধি॥তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (এ্যানেক্স ভবন) বিদ্যুৎ বিভাগের স্টাফ মোঃ নূরুল ইসলাম খান (৬০) বেদধর মারধর করেছে প্রতিপক্ষ।অফিসে আসার পথে গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাত ৯টায় নগরীর ২৭ নং ওর্য়াড কুদঘাটা (নবগ্রাম রোড) নয়গাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয় মেইন সড়ক সংলগ্ন নজরুল ইসলামের চায়ের দোকানে জনসন্মুখে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা নূরুল ইসলাম খানের সাথে থাকা নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং নজরুলের দোকানের মালামাল নষ্ট করেছে।আহত নূরুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।ঘটনার পরই এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সরেজমিন পরিদর্শন করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ শাহআলম, মোঃ মিলন হাওলাদার ও রুবেল শিকদার বলেন,প্রতিদিনের ন্যায় তারা নবগ্রাম রোড সংলগ্ন কুদঘাটার নজরুল ইসলামের চায়ের দোকানের সামনে বসেছিল।এ সময় দোকানের একই টেবিলে বসে চা পান করতেছিলন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (এ্যানেক্স ভবন) বিদ্যুৎ বিভাগের স্টাফ মোঃ নূরুল ইসলাম খান। হঠাৎ ২৭ নং ওর্য়াডের ডেফুলিয়া এলাকার হাবিবের দু’ছেলে হাসান (২৮) ও শাওন (২৪) এবং সুলতানের দু’ছেলে বাপ্পী (৩০) ও রাকিব (২৪) এবং আ. রহিমের ছেলে রিয়াত (২৪) মিলে প্রকাশ্যে মারধর করে নূরুল ইসলাম খানকে।হামলার কারণ জানতে চাইলে মোঃ নূরুল ইসলাম খান ও হাবিব দিয়েছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য।
নূরুল ইসলাম বলেন,তার বড় বোনের স্বামীর ভাই হলেন হাবিবের ভাই।সম্পর্কে তারা বেয়াই।সম্প্রতি তার ভাগিনা রিয়াজ বিদেশ থেকে দেশে আসে।রিয়াজ তাকে বলেছে মামা জমি সব ভাগ করে বুঝিয়ে দেন। মামা-ভাগিনা জমি নিয়ে আলোচনা করার সময় হাবিবের সাথে তার তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে হাবিবের ছেলেরা হঠাৎ সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মারধরের সময় তার পকেটে থাকা ৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলে জানান।
হাবিব বলেন,নূরুল ইসলাম খান সম্পর্কে তার বেয়াই।এ কথা সত্য। রিয়াজের সাথে কথা বলার সময় নূরুল ইসলাম আমাকে ডেকে বলেন- জমি কতটুকু বিক্রি করছো? বেয়াই সম্পর্ক বিধায় উত্তরে বলেছি,তোর কাছে কমু ধূর যা। ইয়ারকিতে এ কথা বলা মাত্রই নূরুল ইসলাম আমাকে হেমায়েতের দোকানে থাকা উপস্থিত সকলের সামনে বাম গালে চড় দেয়।পরে ছেলেরা বিষয়টি শুনে তাকেও মারধর করে।
তবে হাবিবকে মারধর করার বিষয়টি অস্বীকার করেন নূরুল ইসলাম।তিনি এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরই পুলিশ সরেজমিনে আসে। তখন স্থানীয় বাজার কমিটির রনি বিষয়টি সমাধান করে দিবেন বলে জানানো হয়। কিন্ত বিষয়টি অমীমাংসিত ভাবেই থেকে যায়।
সমাধান না হবার কারণ জানতে চাইলে রনি বলেন, দু’পক্ষকে ডাকা হলেও নূরুল ইসলাম খান এসেছিল।তবে অপর গ্রুপ তেমন গুরুত্ব দেয়নি।তাই সমাধান হয়নি।বাপ্পী নামের ছেলেটা হল চরম বেয়াদপ।এ সব ঘটনার নাটের গুরু ওই বাপ্পী।দোকানে বসে সুদের ব্যবসা,লেনদেনসহ নানা ঘটনা নিয়ে মানুষের সাথে তার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে।
কিছুসংখ্যক স্থানীয়রা বলেছে,বিষয়টি অমীমাংসিত থাকলে আবারো যে কোন মুহূর্তে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। ইতোমধ্যে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে দুটি পক্ষ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।