আবহাওয়া বার্তা

দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত

  প্রতিনিধি ১১ মে ২০২৩ , ৪:১৬:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বার্তায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।আবহাওয়া বার্তায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।এর আগে এসব বন্দরে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।

চলতি মে মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তর একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল।

আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে।এটি আজ সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে,কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল।এটি আরও ঘনীভূত হয়ে কাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তর–পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তী সময় দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আবহাওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে,ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার।এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছিলেন,আগামী শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রোববার ভোরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানতে পারে।আর এটি হতে পারে ‘সুপারসাইক্লোন’।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রোববার ভোরের মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে টেকনাফ ও মিয়ানমার উপকূলে।এটি হতে পারে ‘সুপারসাইক্লোন’।

আরও খবর

Sponsered content