সারাদেশের খবর

তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য একদিনের বেতন পাঠিয়েছেন-মুন্না

  প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:৪৮:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লা প্রতিনিধি।।তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য একদিনের বেতন পাঠিয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম মুন্না (৩৮) নামের এক যুবক।তিনি কুমিল্লার একটি কসমেটিকস দোকানে ৯ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সুন্দরবন কুরিয়ারের মাধ্যমে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বরাবর একটি পত্রসহ একদিনের বেতনের সঙ্গে ১০০ টাকা যোগ করে মোট ৪০০ টাকা অনুদান পাঠান।

তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা নগরীর কাপড়িয়াপট্টি এলাকার হিদায়েতুল ইসলামের ছেলে।পড়াশোনা করেছেন ডিগ্রি প্রথম বর্ষ পর্যন্ত।বাবার সঙ্গে সংসারের হাল ধরার জন্য নগরীর কান্দিরপাড় সমবায় মার্কেটের নিচতলায় মনিহার প্রসাধনী নামের একটি কসমেটিকস দোকানে চাকরি করছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তৌহিদুল ইসলাম মুন্না রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বলেন,ভূমিকম্পে তুরস্কের মানুষদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে মানুষ হিসেবে আমাদের সবারই তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।আমি আমার একদিনের বেতনের সঙ্গে আরও ১০০ টাকা যোগ করে মোট ৪০০ টাকা পাঠিয়েছি, ভবিষ্যতে আরও পাঠাবো।’

তিনি আরও বলেন,তারা (তুরস্ক দূতাবাস) আমার এই ক্ষুদ্র অনুদান সাদরে গ্রহণ করেছে।আজ দুপুরে দূতাবাস থেকে রিয়াদ হাসান নামের একজন ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’

চিঠিতে তৌহিদুল ইসলাম তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ করে লিখেছেন,তুরস্কে গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।আমি তৌহিদুল ইসলাম মুন্না।কুমিল্লা শহরের একটি কসমেটিকস দোকানে চাকরি করি।তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য আমার একদিনের বেতন পাঠালাম। ভবিষ্যতে আমি আমার সাধ্যমতো আবারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।সাহায্য পাঠানোর জন্য আপনাদের ব্যাংক হিসাব নম্বর অথবা অন্য কোনো মাধ্যম যদি প্রদান করতেন,তাহলে আমার মতো আরও যারা সাহায্য পাঠাতে আগ্রহী তাদের উপকার হতো।’

দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে উদ্দেশ করে এ যুবক লেখেন,জনাব প্রেসিডেন্ট,আপনি নিজেকে একা ভাববেন না।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮ কোটি মানুষ আপনার পাশে আছে।জনগণের পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ হাফেজ।’

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তুরস্ক রেড ক্রিসেন্টের প্রোগ্রাম অফিসার রাকিব হাসান রিয়াদ বলেন,আমরা কোনো ধরনের নগদ অর্থ রিসিভ করছি না।তবে কুমিল্লা থেকে আসা চিঠিটি পড়ে আমাদের ভালো লেগেছে।বিষয়টি দূতাবাসের সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।’

আরও খবর

Sponsered content