সারাদেশ

ঢিলেঢালা নির্বাচন, জমাতে সাদিক আবদুল্লাহকে প্রয়োজন

  প্রতিনিধি ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:১৯:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

হাফিজ স্বাধীন(বরিশাল) অফিস।।নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততোই উৎসবমূখর হওয়ার কথা থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ যেন বরিশাল সদর আসনে বইছেই না। নির্বাচনী উৎসব তৈরি করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেও সুফল মিলছে না এ আসনে।

 

দেশের অন্যান্য এলাকায় কিছুটা নির্বাচনী আমেজ তৈরি হলেও বরিশাল-৫ সদর আসনের প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের পরিস্থিতির সাথে বর্তমানের মিল খুঁজে পাচ্ছে না স্থানীয়রা।

 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, বিএনপিসহ অন্যান্য শক্তিশালী দল এবার নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

 

সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দ্বাদশ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দলের বৃহৎ একটি অংশ বিরোধীতা করায় সেই সুযোগটিও হারিয়ে ফেলেন তিনি।

 

এরপর দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৌশলী নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সাদিক আবদুল্লাহ। এ খবর শোনা মাত্রাই নির্বাচনী আমেজ শুরু হয় নগরজুড়ে।

 

অন্যদিকে চিন্তিত হন আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার টিকিট পাওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীম। এরপর সাদিকে ঠেকাতে শুরু হয় আইনী লড়াই। জাহিদ ফারুক শামীম তাঁর রাজনৈতিক কৌশলে সাদিক আবদুল্লাহকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরতেও বাধ্য করেন।

 

উল্লেখ্য, বর্তমান সাংসদ জাহিদ ফারুক শামীমের দলীয় মনোয়ন লাভ এবং সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এখানকার ভোটার ও সাধারণ মানুষ মনে করেছিল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও এই আসনে লড়াই হবে জাহিদ-সাদিকের মধ্যে।

 

কিন্তু সাদিক আবদুল্লাহকে নিয়ে আইনী জটিলতায় নির্বাচনী উৎসব থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ। কোনভাবেই নির্বাচনী আমেজ তৈরি হচ্ছে না বরিশাল সদর আসনে। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছে, জাহিদ ফারুক ও সাদিক আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা।

 

এর আগে তাঁরা দুই জনেই জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও ব্যাপক। সাদিক আবদুল্লাহ নির্বাচনে অংশ নিলে বরিশাল সদর আসনে জমজমাট নির্বাচন হতো। এই নির্বাচন উৎসবে পরিণত করতে সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

আরও খবর

Sponsered content