অপরাধ-আইন-আদালত

দেশের বিচার বিভাগকে দেয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রসঙ্গ

  প্রতিনিধি ২৫ জুলাই ২০২৩ , ১:৫২:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি চলছিলো।শুনানির এক পর্যায়ে উঠে এলো দেশের বিচার বিভাগকে দেয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রসঙ্গ।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি শুরু হয়। একপর্যায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এ প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।পৃথিবীর অনেক দেশেই ভিসা নীতি দিছে আমেরিকা,এরমধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া কোনো দেশেরই বিচার বিভাগকে ভিসা নীতিতে সম্পৃক্ত করেনি।আমাদের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

পরে খালেদা জিয়ার আবেদনে নাইকো মামলার শুনানি ৯ আগস্ট পর্যন্ত মূলতবি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে,খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন।তিনি বিচারপতিদের উদ্দেশে বলেন,হাইকোর্টে মামলা শুনানির অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় বিচারিক আদালত বিচারকাজ পরিচালনা করছেন।বার বার বিষয়টি অবহিত করার পরও আমলেই নিচ্ছেন না।অধস্তন আদালতের বিচারক এক্ষেত্রে ঔদ্ধত্য আচরণ করছেন।

পাল্টা জবাবে দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন,হাইকোর্টে মামলার ওপর কোন স্থগিতাদেশ নেই। যেহেতু স্থগিতাদেশ নেই সেহেতু কার্যতালিকা আছে,বিচারাধীন আছে এসব বললে বিচারকাজ থেমে থাকবে না।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়,২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে তিনি মুক্তি পান।বর্তমানে তিনি নিজ বাসায়ই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content