সারাদেশ

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদকে ওএসডি

  প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২৩ , ৫:৫৯:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

খুলনা প্রতিনিধি।।খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো: আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে ওএসডি করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার ফির ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

প্রজ্ঞাপনে সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে ওএসডি এবং আইএইচটি’র অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের জন্য তার চাকরি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে ন্যস্ত করার আদেশ দেয়া হয়।

এছাড়া তাকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার নির্দেশনা দেয়া হয়।অন্যথায় ষষ্ঠ কর্মদিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি বা স্ট্যান্ড রিলিজ মর্মে গণ্য হবেন।একই প্রজ্ঞাপনে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো: সবিজুর রহমানকে খুলনার নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

দুদক জানায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হতো।তবে ল্যাবে যে পরিমাণ নমুনা পাঠানো হতো তার থেকে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে টেস্টের ফির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়।২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর মামলা দায়ের করেন।ওই মামলার তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার তিনি সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আসামিরা হলেন- মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস,মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো: রওশন আলী,ক্যাশিয়ার তপতী সরকার,আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন এবং তৎকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করা খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বর্তমানে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।চার্জশিটে বলা হয়েছে,পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রশিদ বইয়ের বাইরে ডুপ্লিকেট রশিদ বই ব্যবহার করে তারা ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।

আরও খবর

Sponsered content