প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:২৩:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।ক্রিকেটের সঙ্গে অলিখিত প্রতিযোগিতাই কাল হয়েছে দেশের ফুটবলের জন্য। বছরের পর বছর,দুই ফেডারেশনের শীর্ষস্থান আকড়ে ধরে থাকাতেই তৈরি হয়েছে প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি। ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিনের দম্ভ,সংগঠক হিসেবে সফল হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলেও মত ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।
গত ক’দিন যাবৎ দেশের দুই শীর্ষ ক্রীড়া বোর্ড সভাপতির কাঁদা ছোড়াছুড়ি,গণমাধ্যমের প্রধান আলোচ্য বিষয়।অবশ্য পাপন-সালাউদ্দিনের সাপে-নেউলে সম্পর্ক নিয়ে আগে থেকেই অবগত দেশের মানুষ।
দুজনই লম্বা সময় ধরে পদ আঁকড়ে আছেন নিজ নিজ সংগঠনের।ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা মনে করেন,সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার অভাব আর জবাবদিহিতা না থাকাতেই,এভাবে একে অন্যকে জনসম্মুখে ছোট করছেন তারা।পাশাপাশি,ফুটবলার সালাউদ্দিন তার তারকাখ্যাতি ভুলতে না পারাতেই সংগঠক হিসেবে ব্যর্থ হচ্ছেন দেশের ফুটবলকে আলোর মুখ দেখাতে।
ক্রীড়া বিশ্লেষক মোস্তফা মামুন বলেন,তারা যদি সঠিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতেন তাহলে দুইজনের জন্যই ভালো হতো।কাজী সালাউদ্দিন যে বড় হতে পারছেন না,তার কারণ আমার কাছে মনে হয়ে তার ফুটবলীয় অহংকার।এক সময় তার কথাতেই সবকিছু চলতো,তবে এখন অনেকেই তার কথা শোনেন না তাই তিনি অনেক কিছু বলে ফেলেন।’
বিসিবির যা বর্তমান,তাই বাফুফের সোনালী অতীত।একটা সময় যে ফেডারেশন ছিল আর্থিকভাবে স্বচ্ছল,তারাই টাকার অভাবে নারীদের পাঠাতে পারেনি অলিম্পিকের বাছাইপর্বে। সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক মোস্তফা মামুন মনে করেন,গত দুই দশক ধরে ক্রিকেটের সঙ্গে অলিখিত প্রতিযোগিতায় নামাটাই, কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাফুফের জন্য।
মোস্তফা মামুন বলেন,বাফুফে মনে করে ক্রিকেট তাদের ঠেলে পিছে ফেলে দিচ্ছে,আসলে এমনটা নয়।আসলে ক্রিকেট এগিয়েছে আর ফুটবলে নিজেরা পিছিয়ে ক্রিকেটকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।নিজেদের প্রমাণ করার জন্য বাফুফে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বেশি খেলাল দলকে আর তাতে বেশি ম্যাচ হারল তারা।’
পেশাদারিত্বের অভাবে,সমালোচিত বিসিবিও।তবে বাফুফের খামখেয়ালিপানা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে,তাদের সঙ্গে তুলনা করলে,ক্রিকেট বোর্ডকেও টানা যায় আদর্শ সংগঠন হিসেবে।