জাতীয়

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক

  প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২৩ , ২:৩৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশ সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং আরও দুই নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে এই বৈঠক হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিও ছিলেন ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।

এর আগে সকালে ঢাকায় ইইউ দূতাবাসে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) সঙ্গে বৈঠক করেন প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দলের প্রতিনিধিরা।

ইএমএফ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী পরে সাংবাদকিদের বলেন, “পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে সম্প্রতিক নির্বাচনগুলোর যে পরিস্থিতি আমরা দেখেছি,সেটি তুলে ধরেছি এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা,সরকারের যে সহযোগিতা তা জানিয়েছি।”

ফোরামের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছে, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে কঠোরভাবে।অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা উপ নির্বাচন বাতিলের মত পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘আস্থার সৃষ্টি করেছে’ বলে ইএমএফ এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের।

“সম্প্রতি ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতক দল অংশগ্রহণ না করলেও এ দলের সমর্থিত সাবেক কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বড় একটি অংশ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং অনেকেই নির্বাচিত হয়েছেন। এতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা,সাহসিকতা ও সক্ষমতা প্রমাণ হয়,” বলা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

ফোরাম বলেছে, “সরজমিনে পর্যবেক্ষণে লক্ষ্য করেছি যে, নির্বাচনে সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা প্রভাবিত করেনি এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।”

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের উপদেষ্টা ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী,ফোরামের পরিচালক ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক,হাবিবুর রহমান ও বুয়েটের উপ-উপাচার্য আব্দুল জব্বার খানও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

এ বছরের শেষে বা পরবর্তী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের এই ইলেকশন এক্সপ্লোরেটরি মিশন বা অনুসন্ধানী অগ্রগামী দল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার ইইউ মিশন জানিয়েছে, ৮ থেকে ২৩ জুলাই এ সফরে মূল নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিক্স ও নিরাপত্তা– ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন করবে এই মিশন।

এর আগে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানিয়েছিলেন, স্বাধীন এই প্রতিনিধি দল ইউরোপীয় জোটের পররাষ্ট্র বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেলের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনের আলোকে বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন তিনি।

আরও খবর

Sponsered content