ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

আমদানি কমলেও বছরে এখন গড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার হীরার গয়না বিক্রি

  প্রতিনিধি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১:৪৫:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশ থেকে হীরার গয়না রপ্তানির সুদিন ছিল বছর পাঁচ-ছয় আগেও।রপ্তানির পাশাপাশি দেশীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে আমদানিও হতো এই মূল্যবান রত্ন। তবে চার বছর ধরে হীরা আমদানি কমে লাখ টাকার ঘরে নেমেছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন,আমদানি কমলেও বছরে এখন গড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার হীরার গয়না বিক্রি হচ্ছে দেশে।

দেশে হীরার খনি নেই।উৎপাদনও হয় না।আমদানি ছাড়া এই রত্নের বেচাকেনা পাঁচ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হওয়ায় হীরার বাজার ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে।হীরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপে দুটো বিষয় পাওয়া গেছে।এক. স্বর্ণের মতো শুল্ক ফাঁকি দিতে চোরাই পথে ভারত থেকে হীরা আসছে।দুই. আবার আসল হীরার নামে বিক্রেতারা ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছেন পরীক্ষাগারে তৈরি নকল হীরা।হীরার মতো দেখতে মোজানাইট কিংবা জারকান পাথরও বিক্রি হচ্ছে আসল হীরার নামেই।

বাংলাদেশে মূল্যবান গয়নার বাজারে শীর্ষে রয়েছে স্বর্ণ।দুই দশক আগে হীরার গয়নার দোকান চালু হলেও শুরুতে উচ্চবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এই বাজার। তবে বছর পাঁচেক ধরে হীরার গয়নার বেচাকেনা বেড়েছে।

যেমন ছিল সোনালি দিন;-২০০৭ সালের মে মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রথম মসৃণ হীরা রপ্তানির তথ্য পাওয়া যায়।সাভারে মির্জানগরের এইচআরসি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের ব্রিলিয়ান্ট হীরা লিমিটেড বেলজিয়ামে দেড় লাখ ডলার বা এক কোটি টাকার প্রথম চালান রপ্তানি করে।বেলজিয়াম থেকে অপ্রক্রিয়াজাত হীরা আমদানি করে দেশের কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এরপর প্রথম চালানটি আবার বেলজিয়ামেই রপ্তানি হয়।সেই থেকে শুরু হয় রপ্তানি।

ব্রিলিয়ান্টের পর রপ্তানির বাজারে নাম লেখায় রেনেসান্স জুয়েলারি বাংলাদেশ লিমিটেড।আদমজী রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগের এই প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত হীরা আমদানি করে নানা নকশার গয়না তৈরি করত।এসব গয়নাই রপ্তানি শুরু করে তারা।বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরা আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজার দিয়েই তাদের রপ্তানি শুরু হয়।এরপর হংকং,সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতে রপ্তানি করে প্রতিষ্ঠানটি।সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের হীরার গয়না রপ্তানি করে তারা।

রপ্তানির তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছিল ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। ২০১৮ সালে তাদের দুটি চালান রপ্তানি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।দুই চালানের রপ্তানি মূল্য ছিল ৮২ হাজার ৫৩০ মার্কিন ডলার।

হীরা ও হীরার গয়না রপ্তানি করে ২০০৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে।হীরা রপ্তানি হয় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে।সুদিনে প্রতি মাসে ৭ থেকে ১০টি চালান রপ্তানি হতো আকাশপথে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি সপ্তাহে হীরার চালান উঠত উড়োজাহাজে।

বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা ব্রিলিয়ান্ট হীরা লিমিটেডের উদ্যোক্তাদের একজন আনোয়ার হোসেন।তিনি বলেন, রপ্তানির শুরুতে ব্রিলিয়ান্টের কারখানার নকশা (কাটিং ও পলিশিং) বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল বেলজিয়ামে।তবে হীরার ব্যবসার জন্য ব্যাংকের সহায়তা ও প্রণোদনাসহ সরকারি নীতি-সহায়তা বেশি দরকার ছিল সে সময়।সেটি পাওয়া যায়নি বলে এই কারখানা ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যায়।হীরার বাজারে সোনালি দিন শেষ হয়ে যায় মূলত ২০১৮ সালে।ওই বছরের পর গত চার বছরে কোনো হীরার চালান রপ্তানি হয়নি।

রহস্য শুরু ২০১৯ সাল থেকে;-রপ্তানির মতো মোটাদাগে হীরা আমদানি হয় সর্বশেষ ২০১৮ সালে।ওই বছর তিন হাজার ক্যারেটের অমসৃণ হীরার দুটি চালান আমদানি করে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড।একই বছর ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডসহ দশটি প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারের হীরা আমদানি করে। নয়টি চালানে আনা এসব হীরা আমদানিতে শুল্ক–করসহ খরচ পড়ে ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।২০০৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত হীরা ও হীরার গয়না আমদানি হয় সাড়ে ৯৩ লাখ ডলারের। এরপর দেশে হীরার আমদানি আর হয়নি বললেই চলে।
গত চার বছরের উদাহরণ দেওয়া যাক।২০১৯ ও ২০২০ সালে শিল্প খাতে ব্যবহারের তিনটি চালান ছাড়া কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হীরা আমদানি করেনি।২০২১ সালে অমসৃণ হীরা আমদানি করে একমাত্র কাটিং ও পলিশিং কারখানা বেঙ্গল ডায়মন্ড লিমিটেড।কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড আমদানি করে ছোট একটি চালান।২০২২ সালে দুটি প্রতিষ্ঠান হীরা আমদানি করে।শিল্পে ব্যবহারের জন্য বিআরবি কেব্‌ল ইন্ডাস্ট্রিজ আমদানি করে একটি চালান।সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার ঘোষণায় আরেকটি চালান আমদানি করে ঢাকার জুয়েলারি হাউস।অর্থাৎ চার বছরে গড়ে সাড়ে তিন লাখ টাকার হীরা আমদানি হয়েছে।

স্বর্ণ ও ডায়মন্ড ব্যবসায়ীরা;-আমদানি না হলেও হীরার বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে দেশে।ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডায়মন্ডের গয়না বিক্রির শতাধিক দোকান রয়েছে।এর বাইরে স্বর্ণের দোকানেও হীরার গয়না বিক্রি হয়।এসব দোকানে বছরে কত বেচাকেনা হয়,তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই।বাংলাদেশের হীরার বাজার নিয়ে সমীক্ষা করেছে এই ব্যবসায় যুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান।তাদের হিসাবে,হীরার গয়না বেচাকেনা হয় বছরে তিন থেকে সাত হাজার কোটি টাকার। গড় বাজার হিসাব করা হলে বছরে তা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার।

ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে হীরা আমদানির সুযোগ নেই।তাহলে দেশের বাজারে বেচাকেনা হওয়া এত হীরা কীভাবে ও কোথায় থেকে আসছে?এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় হীরা আমদানির পুরোনো তথ্যে।গত ১৯ বছরে যত হীরা আমদানি হয়েছে,তার ৮৭ শতাংশই আনা হয়েছে ভারত থেকে।ভারতের গুজরাটের সুরাটে বিশ্বের ৬৫ শতাংশের বেশি হীরা কাটিং ও পলিশিং করা হয়। খুব সহজে বহন করা যায় বলে দেশটি থেকে অবৈধভাবে হীরা আসছে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় কয়েক বছরে কয়েকটি চালান জব্দ করেছেন।২০২১ সালে সাতক্ষীরা সীমান্তে পৌনে দুই কোটি টাকার ১৪৪টি হীরার গয়না জব্দ করে বিজিবি। ২০১৮ সালে ৭০ লাখ টাকার হীরার গয়না জব্দ করা হয়।

অবৈধ পথে হীরা আমদানির বড় কারণ শুল্ক ফাঁকি।হীরা আমদানিতে শুল্ক–কর বেশি।যেমন বন্ড সুবিধা ছাড়া অমসৃণ হীরা আমদানিতে করভার ৮৯ শতাংশ।মসৃণ হীরা আমদানিতে করভার প্রায় ১৫১ শতাংশ।এই শুল্ক–কর ফাঁকি দিতেই মূলত হীরা অবৈধ পথে আনা হচ্ছে।গত ১৯ বছরে এই মূল্যবান রত্ন আমদানিতে সরকার মাত্র ১২ কোটি টাকার রাজস্ব পেয়েছে।

হীরার বাজারে আরেকটি রহস্যজনক আচরণ হলো দেশের বাজারে দাম।দেশের বাজারে এক ক্যারেট (০.২ গ্রাম) হীরার দাম ৭৯ হাজার টাকা।আর সবচেয়ে কম অর্থাৎ শূন্য দশমিক ১০ ক্যারেট হীরার দাম ৭ হাজার ৯১৪ টাকা।বাংলাদেশে নাকফুলসহ হীরার অলংকার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকার নিচে।ব্যবসায়ীরা বলছেন,হীরার ক্ষুদ্র টুকরো ব্যবহার করা হলেও এত কম দামে হীরার গয়না পাওয়ার কথা নয়।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক হীরা শনাক্তকারী ল্যাব সলিটায়ার জ্যামোলজিক্যাল ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড (এসজিএল) চালু হয় সাত মাস আগে।প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর লন্ডন ও নিউইয়র্কে।বিক্রেতা এবং ক্রেতা দুই পক্ষই এই ল্যাবে আসল হীরা পরীক্ষা করছে।পরীক্ষায় হীরায় আসল-নকলের হার কেমন জানতে চাইলে এসজিএল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহাদ কামাল বলেন,আসল হীরা যেমন পাওয়া যাচ্ছে,তেমনি নকল হীরাও মিলছে পরীক্ষায়।হীরার নামে মোজানাইট,জারকানের মতো পাথরও পাওয়া গেছে।নকল ঠেকাতে আসল হীরার গায়ে সনদ নম্বর তাঁরা খোদাই করে দিচ্ছেন,যাতে যেকোনো জায়গায় ক্রেতারা চাইলে বিক্রি করতে পারেন।

ফাহাদ কামাল বলেন,বছরে বাংলাদেশে তিন থেকে সাত হাজার কোটি টাকার হীরার গয়না বেচাকেনা হয়।গত কয়েক বছরে হীরার গয়নার বাজার বড় হচ্ছে।সমীক্ষায় এমন চিত্র পাওয়ার পর এই পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে।

হীরার দাম চারটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।সেগুলো হলো হীরার ওজন বা কত ক্যারেট,স্বচ্ছতা,রং এবং কীভাবে কাটা হয়েছে তার ওপর। কোনো হীরায় এই চারটি বিষয়ের মান কেমন,তা জানতে সনদের দরকার হয়।

বড় বিনিয়োগ সামনে:-আমদানি না থাকলেও বাজার যে বড় হচ্ছে,তার প্রমাণ হীরা ও স্বর্ণের গয়নার বাজারে নতুন বিনিয়োগ ও ল্যাব স্থাপন।বাংলাদেশে বাজার সমীক্ষায় প্রবৃদ্ধি দেখেই এসব কোম্পানি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বর্ণসহ হীরার গয়না তৈরিতে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করেছে ভারতের বিখ্যাত মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড কোম্পানি। বাংলাদেশের নিটল নিলয় গ্রুপের সঙ্গে যৌথ এই বিনিয়োগে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে গত আগস্টে কারখানা নির্মাণের কাজ শুরু করে তারা।ধাপে ধাপে কারখানায় বিনিয়োগ ১০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন,বাজার সমীক্ষা করে স্বর্ণ ও হীরাখচিত মূল্যবান গয়না তৈরির জন্য যৌথ উদ্যোগে এই কারখানা হচ্ছে।আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে কারখানাটি চালু হবে। রপ্তানির পাশাপাশি ভবিষ্যতে দেশীয় বাজারেও বিপণনের লক্ষ্য রয়েছে আমাদের।’

ভারতীয় আরও তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে হীরার গয়না তৈরির কারখানা স্থাপনে কাজ করছে।এই তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের টাটার তানিশ ব্র্যান্ড।তানিশ ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে।এর আগে ভারতের দারকা জেমস লিমিটেড ও নিরাজ জুয়েলার্সও বাংলাদেশে যৌথভাবে কারখানা স্থাপনে সমীক্ষা শুরু করেছে।

তবে দেশে শুরুর দিকের কারখানাগুলো এখন আর নেই। বর্তমানে দেশে হীরা কাটিং ও পলিশিংয়ের ছোট আকারের একটি কারখানা রয়েছে বাংলামোটরে।বেঙ্গল ডায়মন্ড লিমিটেড নামের এই কারখানা অমসৃণ হীরার একটি চালানও আমদানি করেছে গত বছর।প্রতিষ্ঠানটির একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। নীতি–সহায়তা পেলে রপ্তানি শুরু করবেন তাঁরা।

বড় সুযোগ আছে:-অমসৃণ স্বর্ণ বেচাকেনায় প্রত্যয়নকারী সংস্থা কিম্বারলি প্রসেসের তথ্য অনুযায়ী,২০২১ সালে বিশ্বে মাত্র ২২টি দেশে খনি থেকে হীরা উৎপাদিত হয়।তবে হীরা রপ্তানিতে শীর্ষস্থানে নেই উৎপাদক দেশগুলো।বিশ্বের সবচেয়ে শক্ত এই রত্নের বাজার মূলত প্রক্রিয়াকরণ ও গয়না প্রস্তুতকারকদের দখলে।

ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী,২০২১ সালে বিশ্বে হীরা রপ্তানির বাজার ছিল ১১৯ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের (১ বিলিয়নে ১০০ কোটি)।এর মধ্যে অমসৃণ হীরা রপ্তানি হয় ৪৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের। মসৃণ হীরা বা প্রস্তুত হীরা রপ্তানি হয় ৭৫ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারের।

মসৃণ হীরা রপ্তানির ৩১ শতাংশ বাজার ভারতের দখলে। ২০২১ সালে দেশটি ২৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারের মসৃণ হীরা রপ্তানি করে।এরপরের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র,হংকং, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দখলে।এই পাঁচটি দেশ মোট মসৃণ হীরার ৮২ শতাংশই রপ্তানি করছে।আবার হীরাসহ মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি গয়নার বাজারও বড়। ২০২১ সালে বিশ্বে রপ্তানি হয় ৯৭ বিলিয়ন ডলারের হীরা গয়না।

হীরার গয়না তৈরি করতে স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়।মূল্যবান এই রত্ন বসানো হয় স্বর্ণের ওপর।স্বর্ণ আমদানির জট খুলেছে আগেই। স্বর্ণের দক্ষ কারিগরও রয়েছে দেশে।এখন হীরা রপ্তানির বৈশ্বিক এই বড় বাজার ধরা গেলে বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় আসবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।এ জন্য নীতি–সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি অবৈধ পথে হীরা আমদানি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন,বছরে এখন পাঁচ হাজার কোটি টাকার হীরা বেচাকেনা হয়।দেশীয় বাজারের পাশাপাশি রপ্তানি বাজারও অনেক বড়।এই বাজার ধরতে নীতি–সহায়তা যেটুকু আছে,তা বাড়ানো দরকার। প্রথমত,বন্ড সুবিধায় আমদানি করা জটিল।বরং অমসৃণ হীরা আমদানিতে করভার কমিয়ে রপ্তানিতে প্রণোদনা বাড়ালে এই খাতে অনেক কারখানা গড়ে উঠবে।পাঁচ-দশ বছর মেয়াদে এমন সুযোগ দেওয়া হলে এই খাতে সোনালি দিনও ফিরে আসবে।

আরও খবর

Sponsered content