প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪:২৮:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:-সকালে খালি পেটে ১সপ্তাহ রসুন আর মধু খেলে যা হয়!আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে রসুন অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ। নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাসের নানা প্রকার উপকারী দিক রয়েছে।
কাঁচা রসুন চিবিয়ে ও রস করে মধুর সাথে এবং রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও আদা বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে।নিয়মিত রসুন খাওয়া রপ্ত করতে পারলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
হার্ট অ্যাটাক রুখতেও তার জুড়ি মেলা ভার। এমনকি সাধারণ সর্দি-কাশি, ফ্লু, ছত্রাক সংক্রমণ ও ডায়েরিয়া সারাতেও কাজে দেয় রসুন।রসুন কাঁচা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে বেশি ফল মিলবে যদি খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া যায়। আর মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে মিলবে আরও উপকারিতা। রসুনের ২-৩টি কোয়া কুচিয়ে নিন। তার সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ খেলে শরীর ফিট ও এনার্জিতে ভরপবুর থাকবে। এছাড়া অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, ৫ কোয়া রসুন কুচি, ২টি শুকনো লঙ্কা কুচি, ১ টেবিলচামচ আদা কুচি, একটি গোটা পাতিলেবুর রস এবং অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়েও রসুন খাওয়া যায়।
প্রথমে একটি পাত্রে পেঁয়াজ-রসুন-আদা-শুকনো লঙ্কা কুচি মেশান। আলাদা পাত্রে লেবু চিপে রস তৈরি রাখুন। এবার কুচোনো উপকরণে লেবুর রস মেশান। সব শেষে ভিনিগার ঢেলে মিশিয়ে অন্তত ১ সেন্টিমিটার ফাঁক রেখে পাত্রটি ঢেকে রাখুন। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও ফ্লু সারাতে নিয়মিত ব্যবহার করুন।
রসুনের উপকারিতা: ১) হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। ২) শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। ৩) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে। ৪) গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। ৫) ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৬) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে। ৭) যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ৮) দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়।
৯) যৌনমিলনের অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। ১০) হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন সকালে ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুন চিবিয়ে বা থেতলিয়ে খান উপকার পাবেন।