অপরাধ-আইন-আদালত

সন্তানের পিতা চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন আদালতে ভিকটিম

  প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ২:৪১:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।ধর্ষনের পর সন্তান প্রসবের ঘটনায় আসামীর দখল থেকে উদ্ধার হওয়া ভিকটিম আদালতে ১২২ ধারায় দেয়া জবানবন্ধীতে বলেছেন, তার এই সন্তানের পিতা চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন।

আজ বুধবার ভোরে এই মামলার প্রধান আসামী কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনের শ্যালকের দখল থেকে পিবিআই ভিকটিমকে উদ্ধার করে আদালতে উপস্থিত করে। আদালতে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১২২ ধারায় দেয়া জবানবন্ধীতে ভিকটিম বলেন, স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সাখায়াওয়াত তাকে একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করেছেন। ধর্ষনের পর গর্ভবতি হলে কাজের লোকের সঙ্গে বিয়ে দেন চেয়ারম্যান। বাচ্চা প্রসবের পর আসামীর শ্যালক তাকে বাচ্চা সহ অপহরণ করে।

গাজীপুর আদালতে নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক একটি দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্র জানায়, ভিকটিমের জবানবন্ধীর পর তার বাবা তার জিম্মায় মেয়েকে দেয়ার আবদেন করলেও আইনী আনুষ্ঠানিকতার জন্য ভিকটিমকে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ বলছে, ধর্ষণ ও বাচ্চা প্রসবের ঘটনায় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ভিকটিম তাদের হেফাজতে থাকবেন।

এদিকে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে অভিযুক্ত সাখাওয়াত চেয়ারম্যান কাপাসিয়ায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন।

রসঙ্গত: কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বাসার কাজের মেয়ে অন্ত:সত্বা হয়ে পড়লে চেয়ারম্যার ৭মাসের গর্ভবতি ভিকটিমকে কাজের ছেলের সাথে বিয়ে দেন। এরপর ভিকটিমকে ভাড়া বাসায় সরিয়ে নেন। ১৬ আগষ্ট ভিকটিম একটি কন্য সন্তান প্রসব করেন। সন্তানটি সাখাওয়াত চেয়ারম্যানের বলে বাচ্চা কোলে মেয়েটি গণমাধ্যমে বলার পর ২৯ আগষ্ট বাচ্চা সহ মেয়ে ও মেয়ের মাকেও অহরণ করেন সাখাওয়াত চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও শ্যালক। এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ কোন মামলা গ্রহন না করায় ভিকটিমের বাবা গাজীপুর নারী শিশু আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ২৩ নভেম্বর প্রতিবেদন দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। আজ ভোরে আসামীর শশুর বাড়ি থেকে পিবিআই ভিকটিমকে বাচ্চা সহ উদ্ধার করে সাথে বাচ্চার নানীও উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। পিবিআই বলছে, আদালতের আদেশ প্রতিবেদন দেয়ার। প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যাবস্থা।

আরও খবর

Sponsered content