প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২২ , ৪:৪৯:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ-কুমিল্লা জেলার বুড়িচংয় উপজেলায় কলেজশিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মালেক ও সহযোগী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক (ড্রাইভার) বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান।ওসি মারুফ রহমান বলেন,‘প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এক পুলিশ সদস্যসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক (ড্রাইভার) বিল্লাল দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।বর্তমানে দুজন কুমিল্লা কারাগারে আছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ এলাকার এক কলেজছাত্রী মায়ের জন্য ওষুধ কেনার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে কুমিল্লা-বাগড়া সড়কের লড়িবাগ রাস্তার মোড়ে যায়।এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা তাঁর সামনে এসে সামনে দাঁড়ায়।
এ সময় অটোরিক্সার ভেতরে পুলিশের পোশাক পরিহিত একজনকে দেখে নির্ভয়ে উঠে পড়েন কলেজছাত্রী।অটোরিক্সাটিতে ওঠার পর পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকটি তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করতে থাকে। তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আদায় করে দেবে বলেও প্রলোভন দেখান সেই পুলিশ সদস্য।
দীর্ঘ দুই ঘণ্টা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করে শ্লীলতাহানি করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ও সিএনজিচালক এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায় ওই তরুণীকে।
এ ঘটনার পর ওই তরুণী কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
জানা যায়, ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে কলেজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে একপর্যায়ে বিষয়টি জানান ওই ভুক্তভোগী। পরবর্তীতে এলাকায় ও থানায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা লোকটি কুমিল্লা বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মালেক ও অটোরিকশা চালক সেই (ড্রাইভার) মোঃ বিল্লাল হোসেন (৪৪)।
অটোরিকশা চালক বিল্লাল বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কন্ঠনগর গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে।
এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে উভয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।পরে পুলিশ সুপার ও আদালতের নির্দেশনায় গত শুক্রবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কারাগারের পাঠানো হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন বলেন, আসামিরা বর্তমানে কারাগারে আছেন।সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি এখনো জব্দ হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।