সম্পাদকীয়

পত্রিকার ব্যবসায়িক স্বার্থে একে অপরের দিকে যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি!!!

  প্রতিনিধি ২৫ আগস্ট ২০২২ , ৯:২৩:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম:-সাংবাদিকতা আবার রঙ কিসের? প্রশ্ন আসতে পারে। হ্যাঁ, সাংবাদিকতার রঙ নেই। সাংবাদিকতা হলো স্বচ্ছ পানির মত। একেবারে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার রঙ হতে হয় সাংবাদিকতার। কিন্তু সাংবাদিকতা কি এ রঙহীনতা ধরে রাখতে পেরেছে কোনোকালে? পারেনি। আর তাই যোগ হয়েছে রঙিন সাংবাদিকতার। সেটা হলুদ দিয়েই শুরু হয়েছে।

হলুদ সাংবাদিকতার জন্ম হয়েছিল সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম দুই ব্যক্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জোসেফ পুলিৎজার আর উইলিয়াম রুডলফ হার্স্টের মধ্যে পেশাগত প্রতিযোগিতার ফল হিসেবে। এই দুই সম্পাদক তাঁদের নিজ নিজ পত্রিকার ব্যবসায়িক স্বার্থে একে অপরের দিকে যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি করেছিলেন, বিশ্বমিডিয়া আজও তা দুঃস্বপ্নের মতো মনে রেখেছে।

পুলিৎজারের নিউ ইয়র্ক ওয়ার্ল্ড ও হার্স্টের নিউ ইয়র্ক জার্নালের মধ্যে পরস্পর প্রতিযোগিতা এমন এক অরুচিকর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতার পরিবর্তে পত্রিকার বাহ্যিক চাকচিক্য আর পাঠকদের উত্তেজনাদানই তাদের কাছে এক সময় মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

কিন্তু সময় বদলেছে। সাংবাদিকতার রঙ হলুদ থেকে লালের মধ্য দিয়ে ভয়াবহ রঙ কালোর দিকে যাত্রা করেছে। সংবাদে জনস্বার্থ, দেশস্বার্থ, পরিবেশ স্বার্থ বলে কিছু থাকছে না। রগরগে ”নেতিবাচক” সংবাদে ভরে উঠছে পত্রিকার কলামের পর কলাম। দু-একটি পত্রিকা শনিবার বা শুক্রবার কিছু ইতিবাচক সংবাদ ছাপছে। সেটাও তাদের প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে, ট্রাস্ট-ব্যবসার প্রসারে দেশি-বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্তির জন্য। অন্যদিকে ভুয়া সাক্ষাৎকার, ভুল ধারণার জন্ম দিতে পারে এমন শিরোনাম, ভুয়া বিজ্ঞানমূলক আবিস্কারের খবর, আর তথাকথিত বিশেষজ্ঞ কর্তৃক ভুল শিক্ষামূলক রচনার ব্যবহার ভয়াবহ রকমের বেড়েছে।

আজ গবেষকদের বরাতে বলা হচ্ছে ”গাজা ক্ষতিকর”, কাল বলা হচ্ছে ”গাজা মানুষের মেধা বাড়ায়”। আজ এক পত্রিকা লিখছে, ”রাত জাগলে বুদ্ধি বাড়ে” তো কাল অন্য পত্রিকা লিখছে, ”রাত জাগলে জটিল রোগ হয়।” পাঠক কোন দিকে যাবেন? হলুদ, লাল বা কালো সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ হিসেবে তাই আরো একটি রঙের সাংবাদিকতার প্রয়োজন পড়েছে এখন। রঙ কে রঙ দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। এই রঙ হবে সবুজ। যাকে পশ্চিমা বিশ্ব ডাকতে শুরু করেছে গ্রিন জার্নালিজম নাম

আরও খবর

Sponsered content