প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩:৫৭:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি।। ১০ বছরে প্রতারণা করে ৫ বিয়ে করে ৪র্থ বউয়ের টাকায় লিবিয়া ঘুরে এসে অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন মো. সোহেল মাতব্বর (৩৫) নামে এক প্রতারক।
মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) দুপুর দুইটার দিকে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের তাঁর ৫ম বউয়ের বাড়ি থেকে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত প্রতারক সোহেল মাতব্বর মাদারীপুর জেলার শ্রীনার্থ গ্রামের ছগির মাতব্বরের ছেলে। ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, সোহেল একজন প্রতারক। সে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে ১০ বছরে একেএকে ৫টি বিয়ে করেছেন। প্রতিটি বিয়ে করার সময় সে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিতো। ২০১০ সালে তাঁর গ্রামের বাড়ি শ্রীনার্থে সে প্রথম বিয়ে করে।
সেই সংসারে তার ২ সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েকবছর পর সে রাজধানী ঢাকার উত্তরায় ফুটপাতে গেঞ্জি বিক্রি করতেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে আরো ২টি বিয়ে করে। ২০২০ সালের দিকে রাঙামাটি ঘুরতে গিয়ে বাসে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
তাকেও বিয়ে করে। তাঁর টাকায় ১ বছর আগে সে লিবিয়া ঘুরে আসে। প্রতিটি তরুণীকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। চতুর্থ বউয়ের থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লিবিয়ায় ঘুরতে যায় সোহেল।
এরপর চলতি বছরের মে মাসে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ১৬ বছরের এক তরুণীকে বিয়ে করে।
ঢাকার উত্তরায় সোহেল যে রুমে ভাড়া থাকত। সেই রুমের এক যুবকের মাধ্যমে ভোলার ওই তরুণীর ঠিকানা পায় সে। তারপর ২ মাসের প্রেমের সম্পর্কের পর চলতি বছরের মে মাসে ওই অপ্রাপ্ত তরুণীকে বিয়ে করে সোহেল।
ফরহাদ সরদার আরো জানান, সোহেলের প্রতারণা কেউই বুঝতে পারত না। সে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে বেড়ায়। তাঁর ২য় স্ত্রী ঢাকার উত্তরায় কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন।
সেই মামলায় সে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাঁর ৪র্থ বউ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে সোহেল ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে বিয়ে করে শশুর বাড়িতে অবস্থান করছে। সে (৪র্থ বউ) ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশকে তাঁর প্রতারণার বর্ণনা দেন।দুপুর ২টার দিকে পুলিশ তার ৫ম বউয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, তাকে (সোহেলকে) আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর প্রত্যেক বউকে থানায় ডেকে আনা হবে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তাঁর আরো প্রতারণার বিষয়গুলো জানতে হবে। এরপর তাকে আদালতে তোলা হবে।