প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৫:৪৫:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন,মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ‘অলআউট অ্যাকশনে’ যাওয়ার হবে।বর্তমানে বাংলাদেশ হচ্ছে মাদকের একটি ট্রানজিট রুট (পথ)।এ থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে মাদকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন র্যাবের মহাপরিচালক।এর আগে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের লেখা ‘মাদকের সাতসতেরো: বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সমাধানসূত্র’ এবং ‘কিশোর গ্যাং: কীভাবে এলো, কীভাবে রুখব’ শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এম খুরশীদ হোসেন।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন,আমাদের মূল কাজ হচ্ছে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।আপনারা জানেন,রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুরে এই কিশোর গ্যাংয়ের বিস্তার খুব বেড়ে গিয়েছিল,এতে র্যাব অভিযান পরিচালনা করে বেশ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।’
কিশোর গ্যাংকে কেউ না কেউ আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন উল্লেখ করে এম খুরশীদ হোসেন বলেন,আমরা চেষ্টা করছি কিশোর গ্যাংকে সমূল কীভাবে বিনাশ করা যায়।পাশাপাশি যারা তাদের পরিচালনা করছে,তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা চাই,সমাজের মানুষ যাতে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে রেহাই পায়।’
মাদক নিয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘মাদকের বিষয়টি এমন হয়েছে যে,শুধু পুলিশ–র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দিয়ে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।বিশ্বের অন্যান্য দেশ মাদক নিয়ন্ত্রণে অনেক বেআইনি পদক্ষেপও নিয়েছে।কিন্তু আমরা সেই পথে যাচ্ছি না,আইনের মধ্যে থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।’
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন এম খুরশীদ হোসেন।তিনি জানান,কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।পাশাপাশি র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রয়োজনীয় সুইপিং করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন,কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাতটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে,যেগুলো ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে কাজ করবে।