ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

৫১২ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে আড়াই টাকা লাভ হয়েছে!

  প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২৩ , ৪:১১:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী,সোলাপুরের বরশি তহসিলে বসবাসকারী ৬৩ বছর বয়সী কৃষক রাজেন্দ্র চৌহান জানান,সোলাপুর বাজারে তিনি এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫১২ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেন। প্রতি কেজিতে দাম পেয়েছেন মাত্র ১ রুপি। শেষ পর্যন্ত হিসাব করে দেখেছেন,সমস্ত খরচ বাদে তাঁর মুনাফা হয়েছে মাত্র ২ রুপি ৪৯ পয়সা।

বার্তা সংস্থা পিটিআই-এর কাছে কৃষক চৌহান বলেন,আমি সোলাপুরের একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর কাছে মোট পাঁচ কুইন্টালের বেশি ওজনের ১০ ব্যাগ পেঁয়াজ বিক্রির জন্য পাঠিয়েছিলাম।লোডিং,পরিবহন,শ্রমিক এবং অন্যান্য চার্জ কাটার পরে,আমি নিট মুনাফা করেছি মাত্র ২ দশমিক ৪৯ রুপি। ব্যবসায়ী আমাকে রেট দিয়েছেন প্রতি কুইন্টাল মাত্র ১০০ রুপি।৫১২ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।সে হিসাবে পেয়েছি ৫১২ রুপি।’

ওই কৃষক বলেন,শ্রম,ওজন,পরিবহন এবং অন্যান্য চার্জ বাবদ ৫০৯ দশমিক ৫১ রুপি বাদ দিলে আমার নিট মুনাফা হয় ২ দশমিক ৪৯ রুপি।এটি আমার এবং রাজ্যের অন্য পেঁয়াজ-চাষিদের জন্য অপমানজনক।আমরা যদি এ ধরনের দাম পাই,তাহলে বাঁচব কীভাবে?’ এদিকে এ নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছেন সাংবাদিকেরা। ব্যবসায়ী দাবি করেছেন,পেঁয়াজগুলো নিম্নমানের। তবে চৌহানের দাবি,ভালো মানের।

ব্যবসায়ী বলেন,ওই কৃষক মাত্র ১০টি ব্যাগ নিয়ে এসেছিলেন এবং পেঁয়াজগুলোও নিম্নমানের ছিল।সে জন্য প্রতি কুইন্টাল ১০০ রুপি পেয়েছেন।তাই সমস্ত খরচ বাদ দেওয়ার পরে, তিনি ২ রুপি নিট লাভ হিসেবে পেয়েছেন।’

ব্যবসায়ী জানান,একই কৃষক সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর কাছে ৪০০ ব্যাগ পেঁয়াজ বিক্রি করে ভালো লাভ পেয়েছেন।এবার তিনি বাকি পেঁয়াজ বেচতে এসেছিলেন।পরিমাণও অনেক কম ছিল। বাজারে দামও পড়ে গেছে। তাই তিনি এই হারে দাম পেয়েছেন।

এ ব্যাপারে কৃষক নেতা এবং সাবেক সাংসদ রাজু শেঠি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন,এখন বাজারে আসা পেঁয়াজ মূলত ‘খরিফ’ শস্য।এই পেঁয়াজ দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায় না। এই পণ্য দ্রুত বাইরে রপ্তানি করা দরকার।কিন্তু ব্যাপক সরবরাহের কারণে পেঁয়াজের দাম পড়ে গেছে।

কৃষক নেতা রাজুর মতে,ভারতের কৃষিপণ্য বিপণন সমিতি নাফিড–এর মাধ্যমে এই পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে না।ফলে একমাত্র বিকল্প হলো এই খরিফ পেঁয়াজের জন্য বাইরের বাজার দেখা।পেঁয়াজের বিষয়ে সরকারের রপ্তানি ও আমদানি নীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলেও মন্তব্য করেন ওই কৃষক নেতা।

রাজু শেঠি বলেন,আমাদের দুটি স্থায়ী বাজার ছিল—পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। কিন্তু সরকারের অসংগতিপূর্ণ নীতির কারণে তারা আমাদের পরিবর্তে ইরান থেকে পেঁয়াজ কেনাই পছন্দ করছে।তৃতীয় বাজার শ্রীলঙ্কা।কিন্তু সবাই তাদের পরিস্থিতি জানে এবং কেউ সেখানে পণ্য পাঠানোর ঝুঁকি নিচ্ছে না।’

রাজুর মতে, সরকারের উচিত এই পেঁয়াজ কেনা অথবা কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া।

আরও খবর

Sponsered content