জাতীয়

হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয় ও ঘরবাড়িতে কিছু ‘দুর্বৃত্ত’ হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে-ধর্ম উপদেষ্টা,আ ফ ম খালিদ হোসেন

  প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২৪ , ৪:৫৬:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,গণআন্দোলনে সরকার পতনের পরিস্থিতিতে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয় ও ঘরবাড়িতে কিছু ‘দুর্বৃত্ত’ হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।“বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।এ দেশে রোজা ও পূজা একইসময়ে পালিত হতে কোনো সমস্যা নেই।সবাই তার নিজের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন ও প্রচার করবে।এটা সকলের নাগরিক অধিকার।”

চট্টগ্রামের হালিশহরে হযরত উসমান (রা.) জামে মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে কথা বলছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা।

সম্প্রীতি নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিদেশি কিছু মিডিয়াতে প্রোপাগান্ডাও চালানো হয়েছে।যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে,তাদেরকে সরকার কঠোর হাতে দমন করবে।”

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন,ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম সভাতেই আমি বলে দিয়েছি- আমি দুর্নীতি করি না,ঘুষ খাই না।আমার মন্ত্রণালয়কে আমি দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই।

“এ মন্ত্রণালয়ের কেউ দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার দুদিন পর ৮ অগাস্ট বাংলাদেশে অন্তবর্র্তী সরকার গঠন করা হয়।এ সরকার অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী দলের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা।

তার ভাষ্য, “মানুষ বিগত দিনে ভোট দিতে পারেনি। কোনো দল একবার ক্ষমতায় আসলে আর ছাড়তে চায় না।এই কালচার বন্ধ করতে চাই।পলিটিক্যাল কালচার রিফর্ম করতে চাই। জাতিকে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ রাষ্ট্র উপহার দিতে চাই।

“এ সরকার সুষ্ঠু,অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে কাজ শেষ করবে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম কাজ হল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।এরপর সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কাজে হাত দেবে।”

বর্তমানে দেশের রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,এ অবস্থায় অর্থসংশ্লিষ্ট নতুন কোনো প্রকল্প গ্রহণ বা অন্য কোনো কাজে হাতে দেওয়া সম্ভব নয়।আশার কথা হল, রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হলেই আমরা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করব।”

বক্তব্য শেষে মসজিদে জুমার খুতবার পাশাপাশি ইমামতি করেন ধর্ম উপদেষ্টা।

0Shares

আরও খবর

Sponsered content

0 Shares