চাকরির খবর

সৌদি আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে, আর কেউ যেন সৌদিতে না আসে!

  প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪:৩১:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাবার কষ্টের উপার্জনের টাকা দালালের হাতে তুলে দিয়েও কুলসুম এই ভেবে খুশি ছিলেন যে, তাকে বিদেশে পাঠানোর সব প্রক্রিয়া শেষ করেছেন ওই দালাল।
এক বুক স্বপ্ন নিয়ে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বিমানবন্দরে হাজির হন কুলসুম। ওই দিন রাতের ফ্লাইটে রওনা হন সৌদি আরবের উদ্দেশে। দালালের সহযোগিতায় এই পুরো কাজটি করে দেয় ‘বেসকো ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি।

কিন্তু সৌদি আরবের মাটিতে পা দিয়েই কুলসুমের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কারণ কারখানায় কাজের কথা বলে তাকে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ দেওয়া হয় কুলসুমকে।নিয়তিকে মেনে নিয়ে সেই বাসায় গৃহকর্মীর কাজেই যোগ দেন কুলসুম।কয়েক দিন যেতেই তার ওপর নেমে আসে নানা ধরনের অত্যাচার কুলসুম বেগম।গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। বাবা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে রাজধানীর পুরান ঢাকায় বসবাস করেন। বাবা ভাইয়ের বোঝা হয়ে সংসারে থাকতে চাননি তিনি। নিজেকে স্বাবলম্বী করতে নানা চেষ্টা করেও ব্যর্থতার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।

২০১৭ সালের শেষের দিকে ট্র্যাভেল এজেন্সির এক দালালের মাধ্যমে তিনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন স্বাবলম্বী হওয়ার।ট্রাভেল এজেন্সির দালাল কুলসুম বেগমকে বোঝান, বিনা খরচে সৌদি আরবে গিয়ে সেখাকার কারখানায় কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তিনি।বিনা খরচে বলা হলেও সৌদি আরবের পাঠানোর আগেই নানা অজুহাতে কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ওই দালাল।

সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করেও কুলসুম তার কাজ চালিয়ে যান। পরদেশ, ভিন্ন পরিবেশ ও আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং একই সঙ্গে গৃহকর্তা ও গৃহকর্তীর নির্যাতনে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন কুলসুম।তবুও চলছিল মেনে নেওয়ার লড়াই।চার-নির্যাতন।

আরও খবর

Sponsered content