অপরাধ-আইন-আদালত

সিদ্ধিরগঞ্জে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পাশ্ববিক নির্যাতনের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২২ , ৩:৩৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি।।সিদ্ধিরগঞ্জে মাদানীনগর মাদরাসায় মুখস্ত পড়া বলতে না পাড়ায় ১১ বছর বয়সী শিশু ছাত্রকে মেঝেতে উপুড় করে শুইয়ে পশ্চাদ্দেশে বেত দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়েছেন হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম নামে এক মাদরাসা শিক্ষক।

বেত্রাঘাতের এই ঘটনা পরিবারের কাউকে জানাতেও নিষেধ করেছিলেন ওই শিক্ষক। ঘটনার তিনদিন পর বুধবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষককে বরখাস্তের কথা জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত রোববার ভোরে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানীনগর মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে অবস্থিত এই ক্বওমী মাদরাসাটি মাদানীনগর মাদরাসা বলে অধিক পরিচিত। আবাসিক সুবিধা থাকা এই মাদরাসাটিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছাত্র পড়াশোনা করে বলে জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। নির্যাতনের শিকার শিশুটি মাদানীনগর মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। গত ১৩ মাস যাবৎ মাদরাসাটির আবাসিক বোর্ডিং এ থেকে পড়াশোনা করছে শিশুটি। তাদের বাড়ি সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায়।

শিশুটির পিতা বলেন, গত রোববার ফজর নামাজের পর পড়া ভুলে যাওয়ায় হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম তার ছেলেকে বেত দিয়ে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। বেত্রাঘাত করায় তার শিশু ছেলের পশ্চাদ্দেশে রক্ত জমাট বেঁধে কালোসিরা পড়ে গেছে বলে জানান। তিনি বলেন, নির্মমভাবে এই নির্যাতনের পরও মাদরাসা থেকে আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। নির্যাতনের ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ছেলেকেও শাসান করে ওই শিক্ষক। ভয়ে ছেলেও আমাদের কিছু বলেনি। সপ্তাহে একবার ছেলের সাথে দেখা করার সুযোগ থাকে।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ছেলের মা মাদরাসায় ছেলেকে দেখতে গেলে কান্নাকাটি করে তাকে সব কথা জানায়। পরে আমরা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার কারণ জানতে চাই। তখন তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন ছাত্রের পিতা আব্দুল হালিম। তার বড়ছেলে বাড়ির কাছে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। ছোটছেলেকে শুরু থেকেই মাদরাসায় পড়াচ্ছেন। শুরুতে বাড়ির পাশে একটি মাদরাসায় পড়ালেও ১৩ মাস আগে মাদানীনগর মাদরাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করান। মাদরাসার বোর্ডিং এ থাকতো সে।

শিশুটির পিতা বলেন, বড় ছেলে হাইস্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। ছোট ছেলেকে মাদরাসায় পড়তে দিয়েছিলাম। শিক্ষকরা শাসন করতে পারেন কিন্তু এভাবে কেন?

আরও খবর

Sponsered content