অপরাধ-আইন-আদালত

রাজাপুরের সেনা সদস্যের প্রেম অতঃপর বিয়ে নিয়ে তালবাহানা, ভাগ্য নির্ধারণে কি আছে?

  প্রতিনিধি ২৩ অক্টোবর ২০২২ , ২:৩৪:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোলা জেলা প্রতিনিধি।।ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক সুলতান ঢালীর ছেলে সেনা সদস্য জাকির রং নাম্বারে প্রেমে মজেন সাবেক রাসদাসপুর নিবাসী বর্তমান ঢাকা ফতুল্লার বাসিন্দা নাজমীন আক্তারের।একাধিকবার দেখা সাক্ষাৎ, বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট চাইনিজে খাওয়া-দাওয়া আনুষ্ঠানিকতা সবই করেন এই প্রেমিক প্রেমিকা।

দু’জনই অঙ্গিকার ছিলো বিয়েতে আবদ্ধ হবেন।সর্বশেষ গত ১১ই অক্টোবর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কর্ণফুলী -১৪ লঞ্চের একটি কেবিনে ভোলায় আসেন নাজমীন জাকির।

ভোলার ইলিশাঘাটে এসে নাজমীন কে তার চাচা বাড়ীতে যেতে বলেন জাকির, বাসার টুকটাক কাজ সমাধান করে পরিবারের সদস্যদের পাঠাবেন নাজমীনের চাচার বাড়ীতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এই আশ্বাস দিয়ে জাকির যান তার বাসায় আর নাজমীন যান তার চাচার বাসায়।

এ ভাবে কয়েকদিন থাকার পর নাজমীনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে জাকির। প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে অবশেষে গত ২১শে অক্টোবর জাকিরের সাথে প্রেমের সকল ডকুমেন্টস নিয়ে বিয়ের দাবীতে অনশন করেন নাজমীন জাকিরের বাড়ীতে।

দিনভর নাটকীয়তার পর সন্ধ্যায় রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীর আশ্বাসে নাজমীন তার চাচার বাড়ীতে চলে যান। আশ্বাস ছিলো সুন্দর ফয়সালা দিবে।

কি হবে কাল ফায়সালা? এমন প্রশ্ন সবার?

রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীর শালিশে কোন স্বজনপ্রীতি কখনো হয়নি আর হবে ও না এটা আমার এবং সকলের বিশ্বাস। কারন মিঠু চৌধুরীই রাজাপুরের একমাত্র চেয়ারম্যান যার জন্য জীবন বাজী রেখে রাজাপুরের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বাচিত করেছে। তিনিও সৎ নিষ্ঠার সাথে অতীতের চেয়ে ভালো সেবা দিচ্ছে রাজাপুরবাসীর । তার জন্যই তার উপর ভরসা রেখে, তার কথার সম্মান রেখে মেয়েটি চলে এসেছে।

রাজাপুরের এই শালিশে সেখানকার যুক্তিতর্ক করা ব্যক্তিদ্বয়ের অনেকে গত ২১ তারিখেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এমন খবর ও বাতাসে উড়ছে। সেই যুক্তিতর্কে কতটা টিকবে ফতুল্লার নদী-ভাঙ্গনে সর্ব হারানো বাবার অসহায় মেয়েটি? ২১ তারিখ থেকে সেনা সদস্য জাকিরের পক্ষ নিয়ে তদবির সুপারিশ কমতি ছিলো না, এখনো চলছে। যার ভয়েজ রেকর্ড ও আমার নিকট রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content