- আরও
প্রতিনিধি ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:৪৫:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি।।শিক্ষার্থীদের মারপিটের ঘটনায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।এর মধ্যে ৩ জনকে আজীবনসহ অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড।
আজ শনিবার সভাশেষে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে যবিপ্রবির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো– গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ও রেদওয়ান আহমেদ রাফি এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের নৃপেন্দ্রনাথ রায়।এছাড়া ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানা,ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের বেলাল হোসেন, কম্পিউটার বিজ্ঞানের মো. শোয়েব,ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল আহমেদ রকি এবং গণিত বিভাগের তানভীর আহমেদ রকি।এ ছাড়া আরও ৫ শিক্ষার্থীকে মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে,তদন্ত কমিটি তাদের সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় পাঠায়। কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা ও ঘটনার গুরত্ব বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গত ১৪ অক্টোবর বিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে আজীবন বহিষ্কার,তানভীর আহমেদ আবিরকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মারামারির ঘটনায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমেদ রাফিকে আজীবন,ফার্মেসি বিভাগের রাইসুল হক রানা,ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেনকে দুই বছরের জন্য এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শোয়েব,ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফয়সাল আহমেদ রকিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
একইসাথে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত,মিথ্যা ঘটনা সাজানো ও তদন্ত কমিটির নিকট মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্রনাথ রায়কে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে সভায় আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের শাস্তির মেয়াদ দুই বছর করা হয়।তবে এ সময় তারা কেউ কোনো ধরনের অসদাচারণে জড়িত হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে তাদের আজীবন বহিষ্কারাদেশের শাস্তি পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত হয়।
একই ঘটনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন,শাহিনুর ইসলাম ও মো. রাজিব রাজুকে সতর্কীকরণ চিঠি এবং অভিভাবকের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে মুচলেকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এটি না করলে তাদেরও ছয় মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এছাড়া রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গত ১৬ জুলাই কোষাধ্যক্ষের অফিস কক্ষে ডিন,প্রক্টর ও প্রভোস্টদের উপস্থিতির সময় অসদাচরণ করায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সোহেল রানা এবং পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের তানভীর ফয়সালকে সতর্কীকরণ চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
