প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৫:১০:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ইউসুফ আলী সৈকত।।বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের গজারিয়া নদীতে অবৈধ জাল উদ্ধারে কম্বিং অপারেশন অভিযানে জেলেরা হামলা করেছে। বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সহ ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব,পুলিশের টিম অভিযান পরিচালনার এক পর্যায়ে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ হামলা করে জাল ছিনিয়ে নেয়।
এসময় দুই পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।পুলিশ প্রতিরোধ করতে গিয়ে বন্দুক থেকে এক রাউন্ড গুলি বের হলে তা পায়ে লেগে মো: কাওসার নামক এক কনস্টেবল আহত হন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের ভোলানাথ গ্রামের চরশেফলী এলাকার গজারিয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি ইয়াছিনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অভিযানে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।একজন পুলিশ সদস্য মিস ফায়ার করেছিল। এটি তাদের অভ্যন্তরিন বিষয়।তবে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন বলেন,উপজেলার জাঙাগালীয়া ইউনিয়নের ভোলানাথ গ্রামের চরশেফলী এলাকায় গজারিয়া নদীতে অবৈধ জাল উদ্ধারে বিভাগীয় উপ পরিচালকের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট,র্যাব, কোস্টগার্ড,পুলিশ সহ একটি টিম অভিযান চালায়।উদ্ধার করা পাই জাল ২জন পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।কিন্তু পিছন থেকে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ দায়িত্বরত পুলিশ ও লেবারদের উপর হামলা করে জাল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।তারা এ পর্যন্ত কোটি টাকার জাল উদ্ধার করেছেন।এসময় একজন কনস্টেবলের বন্দুকের গুলি ফায়ার হয়ে নিজের পায়ে লাগছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন,চরশেফালীতে জাল উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় লোকজন ঝামেলা করেছিল।তারা যখন উদ্ধার কাজ করছিলেন তখন পিছন থেকে দেড় শতাধিক নারী পুরুষ এসে কিছু জাল নিয়ে যায়।যদিও ১১টি পাইজাল আটক করেছেন।ওই সময়ে কাওসার নামক একজন পুলিশ সদস্যর লোড করা বন্দুক থেকে এক রাউন্ড গুলি বের হয়ে নিজের পায়ে নিজেই আহত হন।