সারাদেশ

মা ইলিশ রক্ষার অভিযানের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৯:১০:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি॥আগামী ১২ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষার অভিযান এরন তারিখ ১ মাস পরে দেয়ার দাবিতে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেছে বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার এসোসিয়েশন। গতকাল সোমবার বেলা ১১ টায় নগরীর পোর্ট রোড জেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সংগঠন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর সিকদার এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক মো. নিরব হোসেন টুটুল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারিতে সকল ব্যবসায়িদের মধ্যে আমরা মৎস্য ব্যবসায়িরা আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।ব্যবসায়ি ও শ্রমিকরা যখন ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছি ঠিক সেই সময় জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রকৃতিক নানা কারণে ইলিশ মাছের উপর বিরূপ প্রভাব পরেছে। বিশেষ করে মৎস্য ব্যবসা নির্ভর করে ইলিশ মাছের উপর।

এ বছর ইলিশের আমদানী বিগত ১০ বছরের চেয়ে কম। বিগত বছরের ন্যায় এবছরও সাগর উত্তল থাকার কারনে জেলেরা সাগরে মাছ শিকার করতে পারেনি বিগত বছরের মত।প্রাকৃতিক কারনে এ বছর মাছের মৌসুমের প্রতিটি অমাবশ্যা ও পূর্নিমার তিথিতে সাগরে সতর্কতা সংকেত থাকায় জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেনি।এ কারণে ইলিশ শিকার হয়নি।যার বিরূপ প্রভাব পরেছে আমাদের মোকামসহ সারা দেশের ইলিশ বাজারের উপর।এমন পরিস্থিতিতে এ বছর শুধু মাত্র বরিশাল মোকামে শত কোটি টাকা লোকসানের আশংকা করছি।

এসময় তিনি আরো বলেন,এরমধ্যে আবার আগামী ১২ অক্টোবর থেকে আসছে ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা। এটিই আমাদের ক্ষতির প্রধান কারণ।আমরা সরকারের মৎস্য বিভাগের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আমাদের এই আর্থিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে আগামী ১২ অক্টোবর সরকারের যে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে তা এক মাস পরে অর্থাৎ আগামী ১২ নভেম্বর থেকে শুরু করার অনুরোধ জানাচ্ছি।তাছাড়া সরকারের ইলিশ রপ্তানি কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।নিষেধাজ্ঞা থাকলে মাছ রপ্তানিতে সমস্যা হবে।তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা মানবতার মা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি সারাদেশের ইলিশ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের কল্যানে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় সীমা পিছিয়ে দেয়ার জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মো. নিরব হোসেন টুটুল বলেন,গত বছরও আমাদের সারা বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করতে বলা হয়েছিলো সেখানে আমরা ১ হাজার টন মাছ রপ্তানি করেছিলাম।তার কারণ চিলো যখনই আমরা মাছ শিকারে যাই তখনি বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকে।আমরা এ কারণে নদীর ইলিশের উপর নির্ভর থাকি। আমার অনুরোধ এ অভিযানটি চাপলি এবং ঝাটকা মাছের উপর অভিযান করা উচিত।আগে এরকম অভিযান ছিলো না তখন কিন্তু অনেক মাছ পেতাম।আমাদে দেশে যেভাবে অভিযান থাকে এরকম আমাদের পাশ্ববর্তী ইন্ডিয়ায় অভিযান থাকে না।আমরা চাই চাপলি ও ঝাটকার উপর আরো কঠোর ভাবে অভিযান হোক। সর্বোপরি আমরা চাই অভিযানটা যেনো একটু পিছিয়ে দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ মো. ইয়ার হোসেন, সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, শেখ রিপন, মো. গণি সিকদার, মো. আইউব আলীসহ প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content