ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

মাদারীপুরে লাগামহীন নিত্য পণ্যের বাজারের দাম

  প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২৩ , ২:২৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি।।মাদারীপুরে লাগামহীন নিত্য পণ্যের বাজারের দাম।অতিরিক্ত দামের কারণে নাভিশ্বাস বাজারে আসা ক্রেতাদের।শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে জেলা শহরের পুরাণবাজার,চরমুগরিয়া,ইটেরপুল,মোস্তফাপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ,সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে দোকানিরা চাল, তেল, চিনিসহ নিত্য পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলেও নেই নজরদারি।প্রশাসনের নজরদারির অভাবে আরও বেপরোয়া ব্যবসায়ীরা।

বিক্রেতারা বলছেন,বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পণ্যের নির্ধারিত মূল্যেরও কম দামে বিক্রি করছেন তারা।

বাজার ঘুরে দেয়া যায়,খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল পাম অয়েল ১৪০-১৪৫ টাকা,সুপার তেল ১৪৫-১৫০ টাকা,১ নম্বর সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা,ও বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৬-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।অপরদিকে প্রতি কেজি দেশি মুশরী ডাল ১৩০-১৩৫ টাকা,ইন্ডিয়ান মুশরী ডাল ১০৫-১০০ টাকা,ফাঁটি মুশরী ডাল ৯০-৯৫ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।এ ছাড়া মুগ ডাল প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকা,খেশারী ৯০-৯৫ টাকা,অ্যাংকর ৬০-৬৫ টাকা ও বুটের ডাল ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।আর প্রতি কেজি চিনি ১৩০ টাকা ও প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

হাজিরহাওলা থেকে পুরাণবাজারে নিত্য পণ্য কিনতে আসা আমির হোসেন বলেন,আয়ের চেয়ে এখন ব্যয় বেশি।একজন দিনমজুর তিনদিনে যা আয় করেন তা একদিনের বাজারেই শেষ হয়ে যায়।বাজারে দাম কমলে ভাল হতো।’

কালকিপুর থেকে আসা আরেক ক্রেতা কালা মিয়া শরীফ বলেন,সব জিনিসের দাম অনেক বেশি।তেল,ডাল,চিনি,চাল কোনো পণ্যের দাম বেশি ছাড়া কম নেই।যাদের আয় কম, তাদের বাজার করতে কষ্ট হচ্ছে।’

পূর্ব খাতিয়াল থেকে বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা সামিউল সরদার বলেন,তেল,ডাল,চিনি কিংবা চাল এসব পণ্য ছাড়া গরীব মানুষ চলতে পারে না।বাজারে পণ্যগুলো কিনতে গেলে বোঝা মনে হয়।’

পুরাণবাজারের বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন,বাজারে কেনাবেচা একই রকম আছে।ক্রেতারা অভিযোগ দেবে।তবে, কোন দোকানি কখনোই বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে না। আমরা স্বাভাবিক দামেই বিক্রি করছি।’

আরেক মুদি দোকানী জাকির হোসেন বলেন,নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।সরকার নির্ধারিত মূল্য ও বাজারের সঙ্গে মিল রেখেই কেনাবেচা করছি।কোনো পণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে না।’

জেলায় ২০০ হাটবাজার রয়েছে।এসব হাটবাজার মনিটরিং করার জন্য মাত্র দুজন কর্মকর্তা রয়েছে।এদের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের একজন সহকারী পরিচালক ও একজন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কাজ করছেন।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান,ক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়।বিক্রেতারা বেশি দামে কোনো পণ্য বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

মাদারীপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন বলেন,জনবল কম থাকায় অনেক সময় অভিযান পরিচালনা করতে বেগ পেতে হয়।এরপরও ক্রেতাদের সুবিধার্থে সাধ্যমতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও খবর

Sponsered content